Hindu Hostel

হিন্দু হস্টেল নিয়ে দুই কর্তাকে ২৮ ঘণ্টা ঘেরাও আবাসিকদের

এ দিন কর্তৃপক্ষ জানান, ‘মেস অপারেশন’ চালানোর জন্য দরপত্র ডাকা হবে। এর পরে ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়। আতিক অবশ্য ডিন অব স্টুডেন্টস ও ডেভেলপমেন্ট অফিসারকে রাতে বসিয়ে রাখার কথা অস্বীকার করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:৪৬
Share:

হিন্দু হস্টেল। —ফাইল চিত্র।

হিন্দু হস্টেলে স্থায়ী মেস চালু করা এবং তিন, চার, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড দ্রুত সারিয়ে সেগুলি খুলে দেওয়ার দাবিতে প্রায় ২৮ ঘণ্টা ধরে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্টস অরুণ মাইতি ও ডেভেলপমেন্ট অফিসার কৌস্তুভ নন্দীকে ঘেরাও করে রাখলেন আবাসিকদের একাংশ। শেষে ‘মেস অপারেশন’ চালানোর জন্য দরপত্র ডাকা হবে— কর্তৃপক্ষের এই আশ্বাসে শুক্রবার রাত ৮টার পরে ঘেরাও ওঠে। সূত্রের খবর, ডিন অব স্টুডেন্টস এবং ডেভেলপমেন্ট অফিসার রাতে টানা বসেই থাকেন। শোয়ার কোনও সুযোগ তাঁদের দেওয়া হয়নি। এমনকি, শৌচাগারে গেলেও বিক্ষোভকারীরা তাঁদের পিছনে যান। এ নিয়ে ক্যাম্পাসের শিক্ষক ও আধিকারিক মহলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।

Advertisement

বেশ কিছু দিন বন্ধ থাকার পরে ২০২২-এর মার্চে হিন্দু হস্টেল খোলা হলেও মেসের ব্যবস্থা এখনও হয়নি। অন্যতম আবাসিক, প্রেসিডেন্সির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ আতিক রহমানের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানো সত্ত্বেও কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করা হয়নি। এর পরে আবাসিকেরা নিজেদের উদ্যোগে মেস চালু করলেও স্থায়ী ব্যবস্থা হয়নি। তাই ফের তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। এর আগে কর্তৃপক্ষ মাসে ১৭ হাজার টাকা ভর্তুকি দিতে রাজি হলেও তা যথেষ্ট নয় বলে মত আবাসিকদের। তাঁদের দাবি, মেসের স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে এবং খরচ বাবদ মাসে ৬০ হাজার টাকা দিতে হবে।

এ দিন কর্তৃপক্ষ জানান, ‘মেস অপারেশন’ চালানোর জন্য দরপত্র ডাকা হবে। এর পরে ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়। আতিক অবশ্য ডিন অব স্টুডেন্টস ও ডেভেলপমেন্ট অফিসারকে রাতে বসিয়ে রাখার কথা অস্বীকার করেন। তবে স্বীকার করেন যে, ওই দুই আধিকারিক শৌচাগারে গেলে তাঁরা পিছনে যান। আতিকের যুক্তি, ‘‘ওঁরা যাতে বেরোতে না পারেন, তা-ই যাওয়া হয়েছিল।’’ ডিন অব স্টুডেন্টসকে বার বার ফোন ও মেসেজ করা হলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement