—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাস্তার পরিসর এমনিতেই কম। অথচ, রাস্তার ধারে যত্রতত্র গাড়ির পার্কিং। যেখানে রাস্তার পরিসর তুলনায় একটু বেশি, সেখানেও একই ছবি। কোথাও অটো, কোথাও বা রিকশার স্ট্যান্ড। দমদম পুরসভা এলাকায় এই ছবির বদল ঘটছে না। যশোর রোড থেকে শুরু করে পাড়ার সঙ্কীর্ণ রাস্তা কিংবা অলিগলিতেও এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। সামাজিক কিংবা সাংস্কৃতিক কোনও অনুষ্ঠান থাকলে সমস্যা আরও বাড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের কোনও রকম হেলদোল নেই।
সমস্যা যে রয়েছে, সে কথা মেনে নিয়েও পুরসভার দাবি, পরিকল্পনা থাকলেও পর্যাপ্ত জমির অভাবে কিছু করা যাচ্ছে না। তা সত্ত্বেও কী ভাবে সমস্যা মেটানো যায়, তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। পি কে গুহ রোড, নির্মল সেনগুপ্ত সরণি থেকে
শুরু করে যশোর রোডের সর্বত্রই চলছে অবৈধ পার্কিং। এ ছাড়া, ছোটখাটো রাস্তাতেও এই সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বসতির সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গাড়ির সংখ্যা।
প্রতিদিন বাইরে থেকেও অনেক গাড়ি এলাকায় ঢোকে। স্থানীয় বাসিন্দা দেবব্রত বসুর কথায়, ‘‘এই এলাকায় গাড়ি রাখার সুবন্দোবস্ত প্রয়োজন। এ বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি
পরিকল্পনা করা দরকার।’’ ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, যশোর রোড-সহ একাধিক রাস্তায় যত্রতত্র পার্কিং রুখতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। স্কুল, কলেজ ও হাসপাতালের সামনে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
অটো, রিকশা থেকে শুরু করে গাড়িচালকদের একাংশের অভিযোগ, গাড়ি রাখলে প্রশাসন সরিয়ে দিচ্ছে। অথচ, বিকল্প জায়গাও নেই। সমস্যার কথা স্বীকার করে দমদম পুরসভার এক কর্তা জানান, যত্রতত্র গাড়ি রাখা হলে জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজেও অসুবিধা হয়। যানজটের সমস্যা তো আছেই।
দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, পুর এলাকায় গাড়ি রাখা নিয়ে সত্যিই সমস্যা রয়েছে। পুরসভা সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু, পার্কিং তৈরির জমি পাওয়া যাচ্ছে না।
কম-বেশি একই ছবি পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ দমদম পুর এলাকাতেও। যদিও সেখানকার পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, তাঁরা জায়গা নির্দিষ্ট করে পার্কিং লট তৈরি করবেন। আজও অবশ্য তা চালু হয়নি। এক পুরকর্তার দাবি, সেখানেও জমির অভাব রয়েছে।
দমদমের এই দুই পুর এলাকায় অবৈধ পার্কিংয়ের সমস্যা কবে মিটবে, তার সদুত্তর আপাতত মিলছে না।