প্রতীকী ছবি।
মর্গ থেকে দেহ বার করার সময়ে কর্তব্যে গাফিলতি হয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্মীর। বি আর সিংহ হাসপাতালে মৃতদেহ বদলের ঘটনার তদন্তে এই তথ্যই উঠে এসেছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। বুধবার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি।
বৃহস্পতিবার হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর দুলালচন্দ্র ভুঁইয়া বলেন, ‘‘ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ সূত্রের খবর, রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা বৃদ্ধার দেহ মর্গে যে বাক্সে ভরা ছিল, সেই নম্বর রেকর্ড বুকেও নথিভুক্ত ছিল। হাওড়ার কল্পনা ভকতের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল। সেই রেকর্ড বুকে লেখা থাকা নম্বর দেখেই বাক্স খোলা হয়। কিন্তু ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, গত ৫ অগস্ট রাতে মর্গ থেকে বাক্স বার করে মৃতদেহটি তুলে স্ট্রেচারে শুইয়ে বাইরে এনে রাখা হচ্ছে। কিন্তু মৃতদেহ ভরা ব্যাগের উপর ও বৃদ্ধার কপালে যে ‘ট্যাগ’ সাঁটা ছিল, তা ওই কর্মী দেখেননি।
অধিকর্তার আরও দাবি, বৃদ্ধার দুই ছেলেও মায়ের দেহ শনাক্ত করতে সামনে আসতে চাননি। ভিডিয়োয় সে প্রমাণ মিলেছে। না হলে এমন ভুল প্রথমেই ধরা পড়ত।
রিজেন্ট পার্কের বৃদ্ধার বড় ছেলে এ দিন বলেন, ‘‘আমাদের অহেতুক দোষারোপ করা হচ্ছে। আমরা নিয়ম মেনে তিন-চার ফুট দূর থেকেই সব করেছিলাম।’’