প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসক এবং রোগীর সম্পর্কে বোঝাপড়াই আসল। শহরে চিকিৎসকদের সম্মেলনে যোগ দিয়ে এ কথা জানান লন্ডনের ‘রয়্যাল কলেজ অব ফিজ়িশিয়ানস’-এর সভাপতি ডেভিড বেল।
শুক্রবার থেকে সায়েন্স সিটিতে হয়ে গেল দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘মেডিকন ইন্টারন্যাশনাল ২০১৯’। উদ্যোক্তা পিয়ারলেস হাসপাতাল, রয়্যাল কলেজ অব ফিজ়িশিয়ানস এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজ়িশিয়ানস’ (ওয়েস্ট বেঙ্গল চ্যাপ্টার)। সম্মেলনে এ বারের বিষয় ছিল ‘অ্যাডভান্সড ক্লিনিক্যাল মেডিসিন’। এ বারের সম্মেলনে চিকিৎসার বিভিন্ন দিকের পাশাপাশি চিকিৎসক নিগ্রহ নিয়েও একটি আলোচনা হয়। সেই প্রসঙ্গে ডেভিড বলেন, ‘‘রোগীর পরিজনদের সঙ্গে চিকিৎসকের যাতে যোগাযোগে ঘাটতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’’ তিনি জানান, রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি কেমন, কী ধরনের চিকিৎসা তিনি পাচ্ছেন, পরিজনদের এটা জানানো প্রয়োজন। আবার রোগীকে সুস্থ করার প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক যে আন্তরিক, সেই বিশ্বাসও থাকতে হবে পরিজনদের।
এখানেই বিস্তর ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করছেন কলকাতার চিকিৎসকেরা। চিকিৎসক দেবাশিস দত্তের মতে, ‘‘সমস্যার দু’টি দিক রয়েছে। চিকিৎসাধীন রোগীর পরিজনেরা উদ্বেগের মধ্যে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে রোগীর পরিজনদের সঙ্গে সময় নিয়ে কথা না বললে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার অনেক সময়ে রোগীর পরিজনেরা অহেতুক উত্তেজিত হয়ে পড়েন এটাও সত্যি। উভয় পক্ষের মধ্যে অবিশ্বাসের যে বাতাবরণ তৈরি হয়েছে সেটা দূর করতে হবে।’’
আস্থার ঘাটতি কী ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে তার ব্যাখ্যায় চিকিৎসকদের একাংশ জানান, এখন ইন্টারনেটে চাইলেই হাতের মুঠোয় চলে আসছে তথ্য। সেই তথ্য পড়ে অনেক ক্ষেত্রে রোগীর পরিজনেরা চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন করছেন। চিকিৎসকদের বক্তব্য, প্রতিটি মানুষের শারীরিক অবস্থা এক রকম নয়। তাই এক চিকিৎসা পদ্ধতিতে সকলে যে সমান সাড়া দেবেন না, সেটা বুঝতে হবে।
চিকিৎসক সম্মেলনের অর্গানাইজিং কমিটির পৃষ্ঠপোষক চিকিৎসক সুজিত কর পুরকায়স্থের মতে, এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসক এবং রোগীর পরিজনদের মধ্যে কথোপকথনই সমস্যা সমাধানের উপায়।