শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে সপ্তর্ষি।
জন্মদিনের কেক-এ বিষ মাখিয়ে তাঁকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। বুধবার সংবাদমাধ্যমে স্ত্রী রত্নার বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
কিন্তু সে দিন জন্মদিনের কেক শোভনের গোলপার্কের ফ্ল্যাটে পৌঁছয়নি বলেই দাবি করলেন রত্নাদেবী। রাস্তায় দাঁড়িয়েই কেক কেটে বাবার জন্মদিন পালন করেছিলেন শোভনের ছেলে-মেয়ে। বৃহস্পতিবার সেই কেক কাটার একটি ভিডিয়ো আনন্দবাজার ডিজিটালকে দিয়েছেন রত্নাদেবী।
সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, গাড়ির উপরে রেখে একটি কেক কাটছেন ঋষি। তার পর তিনি বলছেন, “বাবা তুমি যা চাইছ, তা তুমিই পাবে।’’ যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজারের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
দেখুন সেই কেক কাটার ভিডিয়ো:
কেক-এ বিষ মাখানোর এই অভিযোগ প্রসঙ্গে চুপ থাকছেন না রত্নাদেবীও। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এ দিন তিনি আইনি নোটিসও পাঠিয়েছেন। রত্না বলেন, “কেক নিয়ে আমার ছেলে আর মেয়েই গোলপার্কের বাড়ি গিয়েছিল। যদি সেই কেক-এ বিষ মেশানো থাকত, তা হলে তো আমার ছেলেই মারা যেত। মিথ্যে কথা বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। এর শেষ দেখে ছাড়ব।”
আরও পড়ুন: মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়
রত্নাদেবীর দাবি, সে দিন কেক নিয়ে যাওয়ার পর গোলপার্কের ওই ফ্ল্যাটে তাঁর ছেলেমেয়েকে ঢুকতে দেননি শোভনের নিরাপত্তারক্ষীরা। রত্নাদেবীর অভিযোগ, শোভনবাবুর নির্দেশেই নিজের ছেলেমেয়েকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওই দিন রক্ষীরা বলেছিলেন, ছেলেমেয়ে যেই হোক না কেন, কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)
ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মধ্যরাতে রাস্তার উপরে একটি কেকের বাক্স রেখে ছেলে ঋষি এবং মেয়ে রুহি বাবার জন্মদিন পালন করছে। ঋষিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমরা তোমাকে উইশ করতে এসেছিলাম। আমার তোমাকে উইশ করতে পারলা না। তোমার বাড়ির সামনেই কেক কাটছি। আগের বছর তোমার সঙ্গেই কাটিয়েছিলাম। আই লভ ইউ পাপা। আমি আমেরিকা থেকে কলকাতা থেকে এখানে এসেছি। যাই হোক ইটস ফাইন।’’
আইনি নোটিসের প্রথম পাতা।
এর পরেই রুহির উদ্দেশে ঋষি বলেন, ‘‘তুই কিছু বলবি?’’ এর পর দু’জনেই বাবাকে ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ বলে কেক খেতে শুরু করে। ঋষিকে বলতে সোনা যায়, ‘‘ইউ আর ওয়ান্ডারফুল ফাদার।’’
আরও পড়ুন: কেউ তো জিতল না এতে, বলছেন অভিমানী শোভন-পুত্র
এর পরই আক্ষেপ করে ঋষিকে বলে শোনা যাচ্ছে, ‘‘তুমি যা চাইছ, তুমি নিশ্চয়ই পাবে। আর কোনও উপায় নেই তোমাকে শুভেচ্ছা জানাব। আমি খুশি, আমি আমার মায়ের ছেলে!’’