Rajarhat Newtown

Heavy rainfall: জলবন্দি ও বিদ্যুৎহীন নিউ টাউন, রাজারহাট

জল না নামায় বারাসতে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎপল্লিতে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষ। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:৪৬
Share:

তরী বাও রে..: নিউ টাউনের একটি আবাসন চত্বরে চলছে নৌকা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।

বৃষ্টি থামলেও দিনভর জলবন্দি এবং বিদ্যুৎহীন হয়ে রইল কার্যত গোটা নিউ টাউনের আবাসিক এলাকা। স্মার্ট সিটি নিউ টাউনে ২৪ ঘণ্টা জলবন্দি থাকার পরে ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অনেকেই মঙ্গলবার ফোনে নবান্নয় সেই অভিযোগ জানান।

Advertisement

‘নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (এনকেডিএ) সূত্রের খবর, পরিস্থিতির মোকাবিলায় এ দিন এনকেডিএ, হিডকো-সহ বিভিন্ন দফতর একসঙ্গে বৈঠক করে। আধিকারিকেরা জানান, বিবি, বিএফ, এই, এবি-র মতো বাগজোলা খাল সংলগ্ন বিভিন্ন ব্লকে যথেষ্ট জল জমে রয়েছে। কেষ্টপুর খাল সংলগ্ন শপিং মলের আশপাশের ব্লকে অবশ্য জল ধীরে ধীরে কমছে। কারণ, খালের জল ধীরে হলেও বইছে। বলাকা আবাসনে নৌকা চলতেও দেখা যায়।

আবাসিকদের সংগঠন ‘নিউ টাউন সিটিজ়েন্স ফোরাম ফ্রেটার্নিটি’র তরফে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানানো হয়েছে, সোমবার বিকেলের পর থেকেই বিদ্যুহীন সিংহভাগ ব্লক। ফিডার বক্স জলের নীচে। পানীয় জলের হাহাকার চলছে। অনেকেই গাড়ি চালু করে মোবাইলে চার্জ দিচ্ছেন। সংগঠনের সম্পাদক সমীর গুপ্ত বলেন, ‘‘বাড়ির নীচে জলের ট্যাঙ্কে নোংরা ঢুকে গিয়েছে। জলের ট্যাঙ্কার জোগাড় করতে হিমশিম অবস্থা। এত টাকা কর দিই। তবুও কেন নিকাশি ব্যবস্থার সুষ্ঠু পরিকল্পনা করা হবে না?’’

Advertisement

জল বার করতে নিউ টাউনে সোমবার ৩৬টি পাম্প চলেছিল। এ দিন আরও ২০টি চালানো হয় বলে জানান এনকেডিএ-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন। তিনি বলেন, ‘‘দূষিত জল বাড়ির ভূগর্ভস্থ জলাধারে ঢুকে গিয়েছে। ওই জল ফেলে দিয়ে ব্লিচিং দিয়ে ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করে জল তুলতে বলা হয়েছে। জল নামতে থাকায় ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানো হচ্ছে। তবে বাগজোলা খালের জল এ দিনও উপচে পড়েছে।’’

ফিডার বক্স ডুবে থাকায় পানীয় জলের সমস্যায় ভুগেছে বিধাননগর পুর এলাকার ২১-২৪ নম্বর
ওয়ার্ড। প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তুলসী সিংহরায় জানান, ওই চারটি এলাকায় পুরসভা পানীয় জলের গাড়ি পাঠিয়েছে। বিধাননগর পুরসভা থেকে পানীয় জলের গাড়ি পাঠানো হয় নিউ টাউনেও। রাজারহাটের কেষ্টপুরের রবীন্দ্রপল্লি এলাকা মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন থেকেছে। উত্তর নারায়ণপুর এলাকায় ২৯টি আদিবাসী পরিবারকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যেতে হয়। মূল সল্টলেকের জল নামলেও চিনার পার্ক, হলদিরামে এ দিনও দীর্ঘক্ষণ জল ছিল।

এ দিকে, জল না নামায় বারাসতে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎপল্লিতে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষ। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement