ফাইল চিত্র।
কারখানা খোলার জন্য বারবার আবেদন জানিয়েছিলেন স্থায়ী কর্মী ও শ্রমিকেরা। তাঁদের কথা মেনে নিয়ে, কাজের ক্ষেত্রে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে সংস্থার নিয়মকানুন মেনে চলার শর্তেই ফের রাজা বিস্কুট কারখানা চালু করলেন কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার সকালে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নির্দেশ তুলে নিয়ে পুনরায় কারখানা চালুর নোটিস জারি করা হয়। এ দিন সকাল থেকেই কাজে যোগ দিয়েছেন স্থায়ী কর্মী ও শ্রমিকেরা। তাঁদের সঙ্গে কিছু অস্থায়ী শ্রমিকও কাজে এসেছেন। তবে এ দিন মাত্র দুটি প্লান্ট চালু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, গত ৯ জানুয়ারি বিকেলে আচমকা ঠিকাদার সংস্থার অধীনে থাকা অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ কিছু বহিরাগতকে কারখানায় ঢুকিয়ে দেন। বহিরাগতেরা অন্য কর্মীদের মারধর করে যন্ত্রপাতি বন্ধ করে দেয়। কাজের মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়ায় কিছু যন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেগুলি ঠিকঠাক করার পরেই পুনরায় সব যন্ত্র ও বাকি প্লান্ট চালু করা সম্ভব হবে বলে এ দিন কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এ দিন কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ঠিকাদার সংস্থার কর্মী ও শ্রমিকদের একাংশের কারণে অন্যদের শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। তবে কাজ চালু করা হলেও যদি ৯ জানুয়ারির ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে তা হলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হবেন। চার দিন পরে কারখানা খোলায় খুশি কর্মী ও শ্রমিকেরা। এ দিন সকালের শিফটে স্থায়ী কর্মীদের ১০০ শতাংশ এবং কিছু ঠিকাকর্মীও উপস্থিত হয়েছেন বলে জানান কর্তৃপক্ষ। এক কর্মী বাপি দাস বলেন, ‘‘আমাদের আবেদন মেনে কর্তৃপক্ষ কারখানা খুলে দেওয়ায় সবাই খুব খুশি। তবে কিছু বহিরাগত আমাদের হুমকি দিচ্ছেন কাজ না করার জন্য। তাতে ভয় হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন আমাদের সঙ্গে আছেন তাই আমরা কাজে যোগ দেবই।’’
রাজা বিস্কুট কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্থায়ী কর্মীদের আবেদন ও স্থানীয় বিধায়কের হস্তক্ষেপের পরেই কারখানা খোলা হয়েছে। কী কারণে ঠিকাকর্মীদের একাংশ বহিরাগতদের নিয়ে গুণ্ডামি ও হামলা চালালেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আশা করব, অস্থায়ী কর্মীরাও সকলে সুষ্ঠু ভাবে কাজ দেবেন। আমরাও কারখানা পুরোদমে চালু করতে পারব।’’