হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতো ঝেঁপে নামল বৃষ্টি। নিজস্ব চিত্র।
সন্ধ্যা ৭টা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মেনে ঝেঁপে নামল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। প্রথমে উত্তর ও মধ্য কলকাতায় বৃষ্টি নামলেও শুকনো ছিল দক্ষিণ কলকাতা। কিন্তু ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ দক্ষিণ কলকাতাতেও শুরু হয় বৃষ্টি। এর মধ্যেই জল জমেছে মধ্য ও উত্তর কলকাতার বেশ কিছু এলাকায়। পুজো দেখতে বেরিয়ে বিপাকে দর্শনার্থীরা। রাস্তায় তীব্র যানজট।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার, ষষ্ঠীতে সন্ধ্যা ৭টা থেকে কলকাতা এবং হুগলির বেশ কিছু এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। চলবে আগামী এক থেকে দু’ঘণ্টা। বজ্রবিদ্যুতের কারণে মানুষ জনকে ভিড়ের মধ্যে যেতে বারণ করেছে হাওয়া অফিস। কলকাতার বহু এলাকা, হুগলির পাশাপাশি হাওড়াতেও নেমেছে বৃষ্টি। শহরের উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণের পর বৃষ্টি সল্টলেক, বেহালাতেও।
ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় লাখ লাখ মানুষ পুজো দেখতে বেরিয়ে পড়েছিলেন। আচমকা বৃষ্টির কারণে তাঁরা এখন মণ্ডপে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে মণ্ডপে মণ্ডপে দমবন্ধ করা ভিড়। ভ্যাপসা গরমের কারণে ভোগান্তি বেড়েছে। হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছে, ষষ্ঠীর রাত থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণ বঙ্গের জেলায় বৃষ্টি বাড়বে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরের পূর্ব-মধ্য অংশে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। তার প্রভাব বেশি পড়বে উপকূলবর্তী জেলায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঘূর্ণাবর্তের জেরে হতে পারে মাঝারি বৃষ্টি। সেই সঙ্গে পশ্চিমের কিছু জেলা, অর্থাৎ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ায় ২ থেকে ৫ অক্টোবর— সপ্তমী থেকে দশমী মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বভাস, কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বাড়তে পারে বৃষ্টি। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।