নবনির্মীত নাঝেরহাট রেল ব্রিজ— নিজস্ব চিত্র।
কাজ শেষ হয়ে গেলেও রেলের অনুমতি না মেলায় সেতু উদ্বোধন করা যাচ্ছে না বলে বৃহস্পতিবার রেলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা মানতে নারাজ রেল। শুক্রবার দিনক্ষণ উল্লেখ করে পূর্ব রেল জানিয়ে দিয়েছে, তাদের তরফে কোনও দেরি হয়নি। সব রকম ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। রাজ্য জনস্বার্থে যে কোনও সময় সেতু উদ্বোধন করতে পারে। সামনের মাসেই চালু হয়ে যেতে পারে মাঝেরহাট ব্রিজ।
নতুন মাঝেরহাট সেতু তৈরি নিয়ে প্রথম থেকেই রেল এবং রাজ্য সঙ্ঘাতে জড়িয়েছে। চিঠি, পাল্টা-চিঠিতে একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বার বার। এ বার সেতু উদ্বোধন নিয়েও আবারও তরজায় জড়াল রেল এবং রাজ্য। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলের দিকে আঙুল তুলতেই দেরি না করেই আসরে নামল পূর্ব রেল।
মাঝেরহাট ব্রিজের একশো মিটার অংশে নীচ দিয়ে রেল লাইন রয়েছে। সে কারণে সেতু চালু করতে হলে ‘রেলওয়ে সেফটি কমিশনার’ (সিআরএস)-এর ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়। প্রশাসনের অভিযোগ, রেল সেই অনুমতি দিচ্ছে না। পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও একই সুরে অভিযোগ করেন।
ভেঙে পড়ার পরে মাঝেরহাট সেতু।
পূর্ব রেল জানিয়েছে, রাজ্য চূড়ান্ত নকশা জমা দিয়েছে অগস্ট মাসের ২০ তারিখ। ওই দিনই রেলের তরফে অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ‘জয়েন্ট সেফটি সার্টিফিকেট’ নভেম্বর মাসের ১১ তারিখে পাওয়া যায়। তার পর তা সিআরএস-কে পাঠানো হল, সঙ্গে সঙ্গেই সই করে দেওয়া হয়। বিষয়টি তখনই লিখিত ভাবে রাজ্যকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রেলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, তাদের তরফে থেকে কোনও রকম বাধা নেই। ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত ভাবে দেরিও করা হয়নি।
আরও পড়ুন: দিল্লির স্টেডিয়ামে জেল, কেন্দ্রীয় প্রস্তাব খারিজ কেজরীবালের
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ে। জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পের স্তম্ভ তৈরির পাশাপাশি নতুন মাঝেরহাট সেতু নির্মাণ নিয়ে প্রাথমিক সমস্যা তৈরি হয়। তার পর নানা কারণে রাজ্য এবং রেলের মধ্যে সমন্বয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ বার রেল নিজের অবস্থান স্পষ্ট করায় শীঘ্রই মাঝেরহাট সেতু চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন মাঝেরহাট সেতু অতিরিক্ত ভার বহনে সক্ষম। বিশেষ প্রযুক্তিও রয়েছে। অতিরিক্ত ভার হলে, তা আগে থেকেই বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন: অ্যামাজনের আইন ভাঙার জরিমানা মাত্র ২৫ হাজার, ক্ষুব্ধ বণিক সংগঠন