মাঝেরহাট সেতুর নকশায় ছাড়পত্র

মাঝেরহাটে নতুন উড়ালপুল তৈরির পথে আর বাধা থাকল না। ওই উড়ালপুলের প্রস্তাবিত নকশা মঞ্জুর করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। তার ভিত্তিতে শীঘ্রই নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছে রাজ্য সরকার। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:২০
Share:

ভেঙে পড়া মাঝেরহাট সেতু।

মাঝেরহাটে নতুন উড়ালপুল তৈরির পথে আর বাধা থাকল না। ওই উড়ালপুলের প্রস্তাবিত নকশা মঞ্জুর করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। তার ভিত্তিতে শীঘ্রই নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

নবান্ন সূত্রের খবর, মাঝেরহাটের উড়ালপুল তৈরি নিয়ে কয়েক দিন রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্মাণকারী সংস্থা নকশাটি দেখায়। সেটি বিশ্লেষণ করে কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব করেন মেট্রো এবং রেলের কর্তারা। প্রস্তাবিত সেই পরিমার্জন সাপেক্ষে নকশাটি তাঁরা মঞ্জুর করেছেন। নির্মাণকারী সংস্থা নকশা পরিমার্জন করার পরে তা বিষেশজ্ঞ সংস্থা ও পূর্ত দফতরের কাছে পেশ করবে। তারা অনুমোদন দিলে শুরু হবে উড়ালপুল তৈরির কাজ। প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘সব বিষয়গুলি সুষ্ঠু ভাবে মিটে গিয়েছে। নকশার কোথায় কোথায় সংশোধন প্রয়োজন, রেল তা জানিয়ে দিয়েছে। সংশোধনের কাজ শীঘ্রই শেষ হবে। আশা করা যায়, মাস দু’য়েকের মধ্যেই উড়ালপুলের কাজ শুরু করা যাবে।’’

নতুন উড়ালপুলটি হবে চার লেনের। ফুটপাত এবং ডিভাইডার নিয়ে মোট প্রস্থ হবে ১৭ মিটার। রাজ্য সরকার অবশ্য সেতুটি আরও একটু চওড়া করতে চেয়েছিল। সেই মতো নকশাও হয়েছিল। কিন্তু সেতুর মাঝের অংশটি ‘রেল ওভার ব্রিজ’ (আরওবি) হওয়ায় এবং পাশে জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো প্রকল্প থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া জরুরি ছিল। মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেতুটি ১৭ মিটারের বেশি চওড়া করতে গেলে তাদের প্রকল্পের কিছু সমস্যা হবে। এমনিতেই নতুন উড়ালপুলের জন্য মেট্রো রেলের স্টেশনের মাপে কিছু কাটছাঁট হয়েছে। তা আর কমানো অসম্ভব। প্রশাসনিক এক কর্তা বলেন, ‘‘সেতুর চওড়া অংশটি পরিকল্পনার থেকে দেড় ফুট কমানো হবে। না হলে মেট্রো রেলের সমস্যা হত।’’

Advertisement

নতুন সেতু তৈরির সময়সীমা দেওয়া হয়েছে আগামী বছর সেপ্টেম্বর। কিন্তু প্রশাসনিক কর্তারা মনে করছেন, জানুয়ারির আগে নির্মাণকাজ শুরু অসম্ভব। তা হলে নির্ধারিত সময়ে কি করে কাজ শেষ হবে? প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘এই ধরনের প্রকল্পের জন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়া মিটতেই দেড় বছর লাগে। কিন্তু সে সব দ্রুত মিটেছে। এ বার অতিরিক্ত লোকবল ও প্রযুক্তির ব্যবহারে নির্দিষ্ট সময়ে উড়ালপুল তৈরি করতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement