R G Kar Hospital Incident

অধ্যক্ষ পদেই ইস্তফা নয়, চাকরিও ছাড়ছি! আরজি করকে দুর্নীতিমুক্ত করতে গিয়েই আমি টার্গেট: সন্দীপ

লাগাতার আন্দোলনের চাপে সোমবার সকালেই আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন সন্দীপ। তার পর স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপক হিসাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৪ ১২:৩৩
Share:

(বাঁ দিকে) আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। প্রতিবাদে চলছে বিক্ষোভ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

অধ্যক্ষ পদ ছাড়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন। আরজি কর-কাণ্ডে এ বার অধ্যাপক পদ থেকেও ইস্তফা দিলেন সন্দীপ ঘোষ। জানালেন, তিনি রাজ্য সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে হাসপাতালে কয়েক জন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগের ইঙ্গিত দিয়েছেন সন্দীপ। দাবি, তিনি স্পষ্টবক্তা বলেই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাঁর কথায় রাজনীতির রং লাগানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।

Advertisement

লাগাতার আন্দোলনের চাপে সোমবার সকালেই অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন সন্দীপ। যুবতী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে আরজি করে গত শুক্রবার থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তার অন্যতম দাবি ছিল সন্দীপকে অধ্যক্ষ পদ থেকে সরানো। সোমবার সকালে তিনি পদত্যাগের কথা জানান। এ বার জুনিয়র চিকিৎসকেরা কাজে ফিরবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন। তার পরেও আন্দোলনকারীরা দাবি করেছিলেন, তাঁরা কারও মুখের কথায় বিশ্বাস করতে রাজি নন। তাঁরা লিখিত পদত্যাগ চান অধ্যক্ষের। সেই সঙ্গে দাবি ছিল, সন্দীপকে ক্ষমা চাইতে হবে।

এর পরেই ইস্তফাপত্র জমা দিতে স্বাস্থ্য ভবনে যান সন্দীপ। সেখান থেকে বেরিয়ে বলেন, ‘‘অধ্যক্ষ শুধু নয়, আমি অধ্যাপক পদ থেকেই ইস্তফা দিচ্ছি। সরকারি চাকরি ছেড়ে দিচ্ছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি বরাবর স্পষ্টবক্তা। কেউ চুরি করলে তাকে চোর বলি। আর স্পষ্টবক্তাদের শত্রু বেশি হয়। আমি সবসময় সরকারের নির্দেশ পালন করেছি। স্পষ্ট কথা বলতে গেলে রাজনীতির রং লাগানো হয়েছে তাতে। কিন্তু আমি মানুষ হিসাবে কাজ করেছি।’’

Advertisement

আরজি করের আগের পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে সন্দীপ বলেন, ‘‘এই আরজি কর ছিল ঘুঘুর বাসা। তোলাবাজি চলত দেদার। তাতে নেতাদের মদতও ছিল। আমি এসে বন্ধ করেছি সে সব। এখানে এখন তোলাবাজি হয় না। আগে জন্ম বা মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে অনেক অপেক্ষা করতে হত। ঘুষ দিতে হত। আমি তা বন্ধ করেছি। তিন বছর আগের আরজিকর আজকের চেয়ে অনেক আলাদা। যে কোনও রোগীকে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। অভিযোগ পেলে সদর্থক উত্তর দিয়েছি। এই ঘটনার সঙ্গে কয়েক জন অধ্যাপক জড়িত। তাঁরা আমার সঙ্গে পেরে ওঠেননি। তাই আমার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আমি কখনও কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করিনি।’’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, সন্দীপ চাকরি ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে অন্য পদে পাঠানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement