ফাইল চিত্র।
ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে রোগীর দেহে মারধরের কোনও চিহ্ন মেলেনি বলেই পুলিশকে জানানো হয়েছে। ফলে পুরুষ আয়ার মারে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগী-মৃত্যুর অভিযোগ কতটা ঠিক, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। শুক্রবার ফের অভিযুক্ত দুই পুরুষ আয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে টালা থানার পুলিশ।
গত বুধবার ভোরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় দত্তপুকুরের বাসিন্দা, বছর একান্নর গোপাল দাসের। অটোচালক গোপালবাবু পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে ৩ জুন বারাসত হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৪ জুন তাঁকে আর জি করে স্থানান্তরিত করানো হয়েছিল। সে দিনই অস্ত্রোপচার হয়। মৃতের স্ত্রী পূর্ণিমা দাবি করেন, গত সোমবার গভীর রাতে শয্যা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন গোপালবাবু। সেই অপরাধে তাঁকে মারধর করেছিলেন দুই পুরুষ আয়া। সে কথা স্বামীই তাঁকে জানিয়েছিলেন। ওই মারধরের ফলেই গোপালবাবুর মৃত্যু হয়েছে বলে আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও টালা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন পূর্ণিমা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, আচমকা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর। তাঁর শরীরের বাইরে ও ভিতরে মারধরের চিহ্ন মেলেনি। আর জি কর হাসপাতাল ময়না-তদন্তের ভিডিয়ো রেকর্ডিংও করেছে। আরও জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় ওই ব্যক্তির শরীরের বাঁ দিক গুরুতর জখম হয়েছিল। তিনি ‘হিমোথোরাক্স’-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। অর্থাৎ, তাঁর ফুসফুস ফেটে চেস্ট ওয়াল এবং ফুসফুসের মাঝে রক্ত জমে গিয়েছিল।
মৃতের স্ত্রী পূর্ণিমা এ দিন বলেন, “পুলিশ আমাদের এখনও কিছু জানায়নি। স্বামীর মৃত্যুর বিচার পেতে যত দূর লড়তে হয়, লড়ব।”
পুলিশ জানিয়েছে, দুই পুরুষ আয়াকে এ দিন ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে ময়না-তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষা করা হচ্ছে।