Kolkata Municipal Corporation

ইস্তফার পরেও পুর হকার সমীক্ষায় নাম, যোগ না দেওয়ায় শো-কজ়ও!

বর্ধমানের বাসিন্দা অং‌শুমান বেতাল গত বছরের অক্টোবরে কলকাতা পুরসভার জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্টের চাকরি ছেড়েছেন। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়িতে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত।

Advertisement

মেহবুব কাদের চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৪৪
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কলকাতা পুরসভার চাকরি ছেড়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন এক বছর আগে। অথচ, সম্প্রতি শহর জুড়ে সম্পন্ন হওয়া হকার সমীক্ষার কাজে তাঁকে নিযুক্ত করেছে পুরসভার পার্সোনেল বিভাগ! এখানেই শেষ নয়। কেন তিনি হকার সমীক্ষার কাজে যোগ দেননি এবং তাঁর অনুপস্থিতি সম্পর্কে কিছু জানাননি, এই প্রশ্ন তুলে তাঁকে পাঠানো হয়েছে কারণ-দর্শানোর চিঠিও। গোটা ঘটনায় পুরসভার কাজের পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা।

Advertisement

ঘটনাটি ঠিক কী? বর্ধমানের বাসিন্দা অং‌শুমান বেতাল গত বছরের অক্টোবরে কলকাতা পুরসভার জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্টের চাকরি ছেড়েছেন। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়িতে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত। অংশুমানের অভিযোগ, মাসখানেক আগে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি ম্যানেজার পদমর্যাদার এক আধিকারিক তাঁকে ফোন করে রীতিমতো অপমানের সুরে জিজ্ঞাসা করেন, কেন তিনি হকার সমীক্ষার কাজে যোগ দেননি? এর পরে ৫ অগস্ট পুরসচিবের তরফে অংশুমানকে কারণ-দর্শানোর চিঠি ধরানো হয়।

শিলিগুড়ি থেকে অংশুমান ফোনে বলেন, ‘‘আমি অনেক দিন আগেই পুরসভার চাকরি
ছেড়েছি। প্রথমে আমাকে ফোন করে বলা হয়, কেন আমি হকার সমীক্ষার কাজে যোগ দিইনি।
এর পরে শো-কজ়ের চিঠি
পাঠানো হয় হোয়াটসঅ্যাপে। যে ভাবে প্রথমে ফোন ও পরে চিঠি ধরানো হল, তাতে আমি অপমানিত বোধ করছি।’’

Advertisement

এই প্রসঙ্গে ‘কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ক্লার্কস ইউনিয়ন’-এর সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এক জন পুরসভার চাকরি ছেড়ে অন্য চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। অথচ, সেই তথ্য পুরসভার কাছে নেই! এটা তো পুর প্রশাসনেরই অপমান।’’

এ বিষয়ে পুরসচিব স্বপনকুমার কুণ্ডু মন্তব্য করতে চাননি। পুরসভার পার্সোনেল বিভাগের এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, ‘‘ওঁকে শো-কজ়ের চিঠি পাঠানো
আমাদের বড় ভুল হয়েছে। উনি যে চাকরি ছেড়েছেন, তা খতিয়ে
দেখা হয়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement