NRS Medical College and Hospital

কাটা পা নিয়ে প্রশ্নের মুখে নীলরতন

রক্তাক্ত দু’টি কাটা পা নিয়ে ওয়ার্ড থেকে হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়ালেন এক ব্যক্তি। সকলে দেখে চমকে উঠলেন। তার পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই কাটা পা ময়না তদন্তে পাঠানো হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:৪৬
Share:

নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।

দুর্ঘটনায় বাদ যাওয়া দু’টি পা কী ভাবে রোগীর পরিজনেরা নিয়ে ঘুরছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে শুক্রবার রিপোর্ট তলব করল স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, তাঁরা রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। সেখানে সাময়িক ভুল বোঝাবুঝির কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

কিন্তু প্রশ্ন হল, এই ভুল বোঝাবুঝি কতটা যুক্তিসঙ্গত? কারণ, রক্তাক্ত দু’টি কাটা পা নিয়ে ওয়ার্ড থেকে হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়ালেন এক ব্যক্তি। সকলে দেখে চমকে উঠলেন। তার পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই কাটা পা ময়না তদন্তে পাঠানো হল। গত সোমবার মহম্মদ রাজ নামে ট্যাংরার এক যুবক ট্রেন থেকে পড়ে যান। তাঁর দু’টি পা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাজকে আর জি কর হয়ে এন আর এসে আনে রেল পুলিশ। জরুরি বিভাগ থেকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ত্রোপচার করে রক্তও দেওয়া হয়। কিন্তু তখনও রোগীর নাম-পরিচয় পুলিশ জানত না। যদিও দুর্ঘটনায় বাদ যাওয়া অঙ্গের ডেথ সার্টিফিকেট লেখার সময়ে রোগীর পরিচয় জানা জরুরি। পরে পুলিশ জানায়, রাজের পরিজনের খোঁজ মিলেছে। তাঁরা আসছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তা শুনে অপেক্ষা করছিলেন চিকিৎসকেরা। এর মধ্যে রোগীকে ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। তখনই পরিজনেরা চলে আসেন। তখন সাময়িক ভাবে তাঁদের কাটা পা দু’টি ধরতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আচমকাই পা নিয়ে প্রথমে ওয়ার্ডে, পরে হাসপাতাল চত্বরে ঘুরতে থাকেন রাজের দাদা। হাসপাতালের এক কর্তা বলেন, ‘‘উনি ভেবেছিলেন, পা দু’টি ওঁকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ নীলরতনের অধ্যক্ষ পীতবরণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সাময়িক ভুল বোঝাবুঝিতে এটা হয়েছে। কারও গাফিলতি নেই। সবটা স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement