নিউ মার্কেট চত্বর।
নিউ মার্কেটে পনিরের বাজারে এক দোকানি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাজারের একাংশ। কিন্তু এই ঘটনা একটি দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। করোনা প্রতিরোধে কলকাতা পুরসভার অধীনস্থ বাজারগুলি কতটা সুরক্ষিত?
শহরে পুরসভার অধীনে থাকা ৪৬টি বাজার সম্প্রতি খুলেছে। যার মধ্যে রয়েছে নিউ মার্কেটও। ওই বাজারে যাতে সুরক্ষা-বিধি মেনে ক্রেতা এবং বিক্রেতারা প্রবেশ করেন, তার জন্য মাস দেড়েক আগে সেখানে বসানো হয়েছিল দু’টি স্যানিটাইজ়েশন টানেল। কিন্তু পুর আধিকারিকদের একাংশের অনুমান, ওই টানেল খুব কার্যকর হয়নি। আমপানের পরে একটি টানেল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেটি বদলানোর পরিবর্তে বিকল্প হিসেবে মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের উপরেই প্রাধান্য দিচ্ছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা পুরসভার বাজার দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তথা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য আমিরুদ্দিন ববি বলেন, ‘‘পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে নিউ মার্কেটের প্রবেশপথে দু’টি স্যানিটাইজ়েশন টানেল বসানো হয়েছিল। কিন্তু সেখান দিয়ে যাঁরা প্রবেশ করছিলেন, তাঁরা সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত হচ্ছিলেন না। সেই কারণেই এর পরিবর্তে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতো মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি জানান, নতুন করে পুর বাজারগুলিতে এই ধরনের গেট বসানো হয়নি।
পুরসভা সূত্রের খবর, তাদের অধীনস্থ বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিই যাতে সুরক্ষাকবচের ব্যবস্থা করে, সে ব্যাপারে তাদের আবেদন জানানো হয়েছে। এস এস হগ মার্কেট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক উদয় সাউ বলেন, ‘‘এই বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা নিজেরাই তাঁদের দোকান জীবাণুমুক্ত করবেন।’’