COVID Vaccine

Covid vaccine: প্রতিষেধকের লক্ষ্যমাত্রা অধরা বিধাননগরে, কারণ নিয়ে কাটাছেঁড়া

পুরসভার উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিষেধক প্রদান শিবিরের অন্তিম দিনে প্রাথমিক ভাবে গ্রহীতাদের সংখ্যা দেখে প্রশ্ন উঠে গেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২২ ০৫:৫৯
Share:

কিন্তু শিবির শেষে প্রতিষেধক গ্রহীতাদের সংখ্যা দেখে স্পষ্টতই হতাশ পুর কর্তৃপক্ষ। ফাইল ছবি

কোভিডের প্রতিষেধক নিতে কি আগ্রহী নয় বিধাননগর?

Advertisement

পুরসভার উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিষেধক প্রদান শিবিরের অন্তিম দিনে প্রাথমিক ভাবে গ্রহীতাদের সংখ্যা দেখে এমনই প্রশ্ন উঠে গেল।

যাঁরা কোভিড প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ় এবং বুস্টার নেননি, তাঁদের জন্য গত ২ জুলাই থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে শিবির শুরু করেছিল বিধাননগর পুরসভা। মঙ্গলবার শিবিরের শেষ দিনে পুর কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছেন, সব ধরনের প্রতিষেধক নিয়েছেন, এমন বাসিন্দার সংখ্যা ছ’হাজার।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো বকেয়া প্রতিষেধকের তালিকা পরীক্ষা করে পুর কর্তৃপক্ষ হিসেব কষে দেখেছিলেন, দ্বিতীয় ডোজ় নেননি, এমন গ্রহীতার সংখ্যাই ১২ হাজারের কাছাকাছি! কোভিডের চতুর্থ ঢেউ যখন আছড়ে পড়েছে, তখন তাঁরা দ্রুত সেই বকেয়া প্রতিষেধক দিতে শিবিরের আয়োজন করেন। মাইক, হোয়াটসঅ্যাপ, ফোন, মেসেজ— সব রকম ভাবে বার্তা দেওয়া হয় পুরবাসীদের।

কিন্তু শিবির শেষে প্রতিষেধক গ্রহীতাদের সংখ্যা দেখে স্পষ্টতই হতাশ পুর কর্তৃপক্ষ। হিসেবের তালিকা ঠিক মতো তৈরি হয়েছে কি না, তা নিয়েও কথাবার্তা শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা বকেয়া ১২ হাজারের মধ্যে অন্তত আট হাজার দ্বিতীয় ডোজ়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়েছিলেন। সেখানে সব ধরনের গ্রহীতাদের মোট সংখ্যা ছ’হাজারে থেমে যাওয়ায় তাঁরাও খানিকটা অবাক।

জানা গিয়েছে, বিগত দশ দিনে দ্বিতীয় ডোজ় নিতে এসেছেন ১৮০০-র বেশি কিছু মানুষ। চারশো জনের কাছাকাছি আবার প্রথম ডোজ় নিয়েছেন। একমাত্র বুস্টার ডোজ় গ্রহীতার সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের গণ্ডি পার করেছে।

বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সব তথ্য ঠিক মতো নথিভুক্ত করা হয়েছে কি না, তাঁরা সেই খোঁজ নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘যে পরিসংখ্যান প্রাথমিক ভাবে হাতে এসেছে, তা ঠিক হলে আমাদের সত্যিই কিছু বলার নেই। কোভিডের চতুর্থ ঢেউ যখন আছড়ে পড়েছে, তখন মানুষের স্বার্থে আমরা প্রতিষেধক প্রদানে উদ্যোগী হয়েছিলাম। এখন নাগরিকেরা যদি নিজের ভাল নিজেরা না বোঝেন, আমরা কী করতে পারি?’’

পুরসভা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে উপনগরীতে সংক্রমিতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। পুর চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘আমার ওয়ার্ডে সম্ভ্রান্ত মানুষের বসবাস। সেখানে শিবিরের প্রচারে হোয়াটসঅ্যাপে মানুষের শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছি। কিন্তু, শিবিরে আশানুরূপ উপস্থিতি দেখিনি। সত্যিই এটা হতাশার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement