নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ।
নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে প্রায় ১৫ মিনিট লিফট-বন্দি হয়েছিলেন পুলিশকর্তারা। লিফটগুলির রক্ষণাবেক্ষণে জোর দেওয়ার পাশাপাশি কেন এই ঘটনা, তা জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পেশ করল পূর্ত দফতর। শুক্রবার হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য বিপত্তি হয়েছিল বলে জেনেছি। এখন কোনও সমস্যা নেই।’’
বুধবার এনআরএসের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের ন’তলায় রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক ছিল। তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী নির্মল মাজি ওই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হওয়ার পরে, এটিই ছিল প্রথম বৈঠক। হাসপাতাল সূত্রের খবর, অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের কনফারেন্স রুমে প্রাথমিক আলোচনার পরে সকলে ন’তলায় বৈঠক কক্ষে চলে যান। দু’টি লিফটের মধ্যে এক টি লিফট ধরে সেই কক্ষে যাচ্ছিলেন পুলিশ আধিকারিকেরা। একতলায় লিফট আটকে যায় বলে খবর।
এনআরএস সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে প্রথমে লিফট অপারেটরকে ডেকে বিপত্তির কথা জানানোর চেষ্টা হয়। তাতে লাভ হয়নি। আপৎকালীন বোতামও কাজ করছে না দেখে মোবাইলে এনআরএসের কর্তাদের ফোনে ধরার চেষ্টা করেন পুলিশ আধিকারিকেরা। কিন্তু মোবাইলের নেটওয়ার্কই তো নেই! হাসপাতালের আধিকারিকদের একাংশ জানান, লিফট অপারেটর ভবনের বাইরে ছিলেন। ফলে পুলিশ আধিকারিকেরা যে আটকে পড়েছেন তিনিও প্রথমে বুঝতে পারেননি। অপারেটর লিফটের কাছে আসার পরে বিপত্তির কথা বুঝতে পারেন। এরপর তিনিই দরজা খুলে পুলিশ আধিকারিকদের বাইরে আনার ব্যবস্থা করেন।
বৈঠকে উপস্থিত চিকিৎসকদের একাংশ জানান, পুলিশ আধিকারিকেরা লিফটে আটকে। কিন্তু তাঁরা উদ্ধার হয়ে ন’তলায় বৈঠক কক্ষে না পৌঁছনো পর্যন্ত কেউ বুঝতেই পারেননি কী ঘটেছে! চিকিৎসকদের একাংশ জানান, বৈঠক কক্ষে পৌঁছে কিছুটা ক্ষোভের সুরে কোন পরিস্থিতিতে তাঁরা পড়েছিলেন তা বর্ণনা করেন পুলিশ আধিকারিকেরা। এক চিকিৎসক বলেন, ‘‘দেখে মনে হচ্ছিল, ওঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।’’ আর এক চিকিৎসক বলেন, ‘‘আতঙ্ক থেকে বড় বিপত্তিও ঘটতে পারত। বন্ধ লিফটের মধ্যে কষ্টফোবিয়া হওয়া অস্বাভাবিক নয়!’’
বিপত্তি প্রসঙ্গে পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘লিফটের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হয়। সেদিন মাইক্রো প্রসেসর বিগড়ে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছিল। এ ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটিকে দুর্ঘটনা ছাড়া কিছু বলা যায় না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব জানানো হয়েছে।’’