Tollygunge

জামিন নিয়ে জোরালো আপত্তি তুলল না পুলিশ, মুক্ত টালিগঞ্জ কাণ্ডের মূল পাণ্ডা পুতুল-প্রতিমা

শনিবার পুতুলদেরই জামিন হয়ে গেল। বিস্ময়কর ভাবে সেই জামিনের জোরালো বিরোধিতা করলেন না সরকারি আইনজীবী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৯ ১৯:৩৬
Share:

ফাইল চিত্র।

টালিগঞ্জ থানার হামলা চালানো এবং পুলিশকে আক্রমণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত পুতুল নস্কর ও তাঁর ছায়াসঙ্গী পূর্ণিমা দাস ওরফে প্রতিমাকে জামিন দিল আলিপুর আদালত। চার দিন আগেই টালিগঞ্জ থানার কনস্টেবল বিমান দাসকে মারধরের ঘটনায় মাটালি বাগানের ‘ডন’ পুতুলকেই মূল চক্রী হিসাবে চিহ্নিত করে পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু, শনিবার সেই পুতুলদেরই জামিন হয়ে গেল। বিস্ময়কর ভাবে সেই জামিনের জোরালো বিরোধিতা করলেন না সরকারি আইনজীবী।

Advertisement

রবিবার রাতে টালিগঞ্জ থানায় তাণ্ডব চালায় মাটালিবাগান বস্তির বাসিন্দারা। ঘটনার প্রায় দেড় দিন পর এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পুতুল নস্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুতুল ছাড়াও গ্রেফতার করা হয় তাঁর ছায়াসঙ্গী প্রতিমাকে। পুলিশের জালে আসে ছোটকা দলুই, দীপক অধিকারী, আকাশ বসু, অক্ষয়, রণজয় হালদাররা। ওই সাত জনকেই এ দিন আদালতে হাজির করানো হয়। সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল আদালতে বলেন, ‘‘অভিযুক্ত পুতুল ও প্রতিমার পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। তাদের আপাতত জেল হেফাজত হোক।’’ বাকি পাঁচ জনকে পুলিশে হেফাজতে রাখার আবেদন জানান তিনি।



আরও পড়ুন: মধ্যরাতের কলকাতায় বেপরোয়া জাগুয়ার, মার্সিডিজকে ধাক্কা মেরে পিষে মারল ২ জনকে
আরও পড়ুন: ঘাতক জাগুয়ারের স্টিয়ারিংয়ে ছিলেন আরসালানের মালিকের ছেলে, গ্রেফতার করল পুলিশ

Advertisement

সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য শুনে অভিযুক্তের আইনজীবী সাত জনেরই জামিনের আবেদন করেন। এর পর সরকারি আইনজীবী ওই জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা না করায় পুতুল ও প্রতিমার জামিন মঞ্জুর হয়ে যায়। পুলিশ এবং আইনজীবীদের অনেকে মনে করছেন, পুতুলের প্রতিপত্তি বা রাজনৈতিক যোগাযোগের কারণেই তাঁর ক্ষেত্রে কড়া হতে পারছে না পুলিশ।

শুধু চেতলা নয়, আশপাশের পাঁচটা থানার পুলিশ এক নামে চেনে পুতুলকে। রাজনৈতিক যোগাযোগ কাজে লাগিয়েই এলাকায় চোলাই, গাঁজা-সহ বিভিন্ন নেশার ব্যাবসা চালিয়ে গিয়েছে পুতুল। শাসক দলের হয়ে ভোট করিয়ে আসছে সে কড়া হাতে। এলাকার বড়-মাঝারি-ছোট নেতাদের সঙ্গে পুতুলের ওঠাবসাও রয়েছে। টালিগঞ্জ থানা ও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একাংশের দাবি, পুতুল ও প্রতিমাকে রাখতে চাইছে না পুলিশ, কেন না তাঁরা শারীরিক ভাবেও অসুস্থ। কিন্তু পুলিশই দিন চারেক আগে তাকে মূলচক্রী বলেছিল। পুলিশ কনস্টেবেলকে মারার ফুটেজে তাঁদের দু’জনকে স্পষ্ট দেখাও গিয়েছে। তবে কি ‘রাজনৈতিক আশীর্বাদ’ই পুতুলের ক্ষেত্রে রক্ষাকবচ হয়ে উঠল, প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement