শর্ট সার্কিটে চলল না পাম্প, জলে ভাসল এলাকা

বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিছু রাস্তায় গোড়ালির থেকে বেশি উচ্চতায় জল ছিল। বেশ কয়েকটি ব্লকে বাড়িতেও জল ঢুকে যায়। তাঁদের বক্তব্য, এর আগে ভারী বৃষ্টি হলেও জল দ্রুত নেমে গিয়েছিল। কিন্তু এ দিন জমে যাওয়ায় তাঁরা ভেবেছিলেন, খাল টইটম্বুর হয়ে এমন হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৮ ০২:২০
Share:

জল-খেলা: সল্টলেকের জিডি ব্লকে। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

ভারী বৃষ্টি হলেও গত আড়াই বছরে সল্টলেকে জল জমেনি। সেই ছবিটাই বদলে গেল মঙ্গলবার সকালে। ৩ নম্বর সেক্টরে ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনে শর্ট সার্কিটের জেরে বিপত্তি হওয়ায় বেশ কিছু ক্ষণ পাম্প চালানো যায়নি। ফলে এক দফা বৃষ্টিতেই সল্টলেকের ৩ ও ১ নম্বর সেক্টরের বেশ কিছু জায়গায় জল জমে ছিল দীর্ঘ ক্ষণ। জলমগ্ন হয়ে পড়ে এফডি, ইসি, ডিডি ও সিডি ব্লকের কয়েকটি রাস্তা।

Advertisement

বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিছু রাস্তায় গোড়ালির থেকে বেশি উচ্চতায় জল ছিল। বেশ কয়েকটি ব্লকে বাড়িতেও জল ঢুকে যায়। তাঁদের বক্তব্য, এর আগে ভারী বৃষ্টি হলেও জল দ্রুত নেমে গিয়েছিল। কিন্তু এ দিন জমে যাওয়ায় তাঁরা ভেবেছিলেন, খাল টইটম্বুর হয়ে এমন হয়েছে।

মেয়র পারিষদ (নিকাশি) দেবাশিস জানা জানান, এ দিন ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনে হঠাৎই শর্ট সার্কিটের জেরে বিপত্তি দেখা দেয়। তবে দুপুরের মধ্যেই পাম্পে মেরামতির কাজ করা হয়। বিকেলের মধ্যে সব জায়গা থেকে জল নেমে যায়। যদিও পুর প্রশাসনের এই দাবি মানতে চাননি সল্টলেকে চাকরি সূত্রে যাওয়া সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের একটি অংশ। তাঁদের অভিযোগ, বিকেলেও জল ছিল তন্তুজ ভবন থেকে শুরু করে ডিডি ব্লকের একাংশে। তার মধ্যে ইসি ব্লকের একটি জায়গায় জলের মধ্যে থেকে বিপজ্জনক ভাবে বেরিয়ে ছিল কেব্‌ল সংযোগের তার। বাসিন্দাদের অভিযোগ, যে ভাবে তারটি জোড়া রয়েছে, তাতে জমা জলে যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। অতীতেও এমন ঘটেছে।

Advertisement

স্থানীয় ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুলসী সিংহরায় বলেন, ‘‘বেশ কিছু ক্ষণ জল জমে থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে অনেককে। কেব্‌ল সংযোগের তার যাতে এমন ভাবে বেরিয়ে না থাকে, ভবিষ্যতে তা অবশ্যই দেখা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement