বইপাগলদের প্রহর গোনা শুরু বইমেলার জন্য
শহরের হাওয়ায় শীতের আমেজ। আর শীত আসা মানেই শহরের সব বইপাগলদের প্রহর গোনা শুরু বইমেলার জন্য। সব অপেক্ষার অবসান করে শহরের এক অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হল এ বারের বইমেলার প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন৷ উপস্থিত ছিলেন পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়, অধিকর্তা সুধাংশু দে এবং সভাপতি প্রবীরকুমার মজুমদার৷
বুধবারের এই সাংবাদিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন গুয়াতেমালার রাষ্ট্রদূত জিয়োবান্নি কাসতিয়ো। সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় গতবার সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে অনুষ্ঠিত বইমেলার সাফল্যে যথেষ্ট সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ৪৩তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা শুরু হতে চলেছে আগামী বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে৷ বইমেলা চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷ বইমেলা উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ বারের বইমেলার ফোকাল থিম কান্ট্রি হিসেবে ঘোষিত হয়েছে গুয়াতেমালার নাম, যাকে গিল্ডের ওয়েবসাইটে ঐতিহাসিক মায়া সভ্যতা গড়ে ওঠার ‘হৃৎপিণ্ড’ বলা হয়েছে৷
মিলন মেলায় কাজ চলায় এ বছরও বইমেলা হবে সেন্ট্রাল পার্কে৷ গিল্ডের তরফে জানানো হয়েছে, এ বারেই প্রথমবার কলকাতা বইমেলাতে আসছেন ইরানের প্রকাশকরা৷ এমনকি ভিসা পেলে আসতে পারেন পাকিস্তানের লেখক-প্রকাশকরাও৷ গিল্ডের বক্তব্য অনুযায়ী, বইয়ের স্বার্থে কোনও কবি-লেখককে আসতে বারণ করা যেতে পারে না। বাকি সিদ্ধান্ত প্রশাসনের উপর ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। তবে বইমেলায় কোনও রাজনৈতিক মিছিল করা যাবেনা বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গিল্ডের তরফে।
আরও পড়ুন: ‘স্তন্যপান করান শৌচালয়ে’, বিতর্কের ঝড়ে শপিং মল
এ ছাড়াও বইমেলাতে অংশ গ্রহণ করছে ব্রিটেন, আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান, চিন ও বাংলাদেশ। থাকছে বিভিন্ন রাজ্যের প্রকাশক ও প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: গাড়ির ধোঁয়াই শুধু নয়, ভোগাচ্ছে নির্মাণের দূষণও
গিল্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গতবার প্রায় ২২ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়েছিল বইমেলায়৷ বই বিক্রি হয়েছিল প্রায় ২২ কোটি টাকার৷ আগামী বছর মিলন মেলা প্রাঙ্গণে বইমেলা ফেরত যেতে পারে বলে জানিয়েছেন গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক৷