গ্রাফিক—সনৎ সিংহ।
বইমেলায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কী করোনার জোড়া প্রতিষেধক নেওয়ার শংসাপত্র কি বাধ্যতামূলক!
পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ড এর তরফ থেকে ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন,‘‘কলকাতা বইমেলায় প্রতিটি দোকানের বিক্রেতার ক্ষেত্রে করোনার দু’টি প্রতিষেধক নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।” কিন্তু পাঠকদের ক্ষেত্রেও কি একই নিয়ম বলবৎ হবে? তিনি বলেন,‘‘স্বাস্থ্যদফতরের সঙ্গে বৈঠকের পরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে জোড়া টিকা নেওয়ার উপর আমরা জোর দিচ্ছি। কিন্তু ছোটদের এখন টিকা দেওয়া হচ্ছে না, তাই এই মুহূর্তেই বইমেলায় প্রবেশের জন্য জোড়া টিকা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”
এ বারের বইমেলায় করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কিছু বিধিনিষেধ থাকবে। বইপ্রেমীরা মাস্ক ছাড়া বইমেলায় ঢুকতে পারবেন না। স্যানিটাইজারের উপরও জোর দিচ্ছেন গিল্ড কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতির অবনতি না হলে ১৩ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বইমেলা। বইমেলার ভার্চুয়াল উপস্থিতিও থাকবে বিভিন্ন নেট মাধ্যমে। ই-পাশের ব্যবস্থাও থাকবে। করোনা মোকাবিলার জন্য খোলামেলা বইমেলা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এর জন্য প্রয়োজনে দোকানের মাপ ছোট করে বড় করা হবে খোলা জায়গার মাপ। বইমেলায় যাতে দূরত্ববিধি মানা যায়, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান গিল্ড কর্তৃপক্ষ।
করোনা আবহে ৩১জানুয়ারি ৪৫তম কলকাতা বইমেলা হতে চলেছে। বইপ্রেমীরা প্রতি বছরই বইমেলার অপেক্ষায় থাকেন। করোনা সংক্রমণের জন্য চলতি বছর বইমেলা হয়নি। মন খারাপ বইপোকাদের। ২০২২-এ বইমেলার আয়োজনের কথা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ড। সমস্ত কোভিড বিধি এবং সরকারি নির্দেশিকা মেনে এ বারের বইমেলা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু করোনা বিধি মেনে বইমেলা করা উদ্যোক্তাদের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ।