Aliah University

ছাত্র অসুস্থ, অ্যাম্বুল্যান্স না থাকায় বিক্ষোভ আলিয়ায়

কয়েক মাস আগে আলিয়ার ক্যাম্পাসের সামনে পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক ছাত্রের। তখনও ওই পড়ুয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া নিয়ে টানাপড়েন চলেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:৩৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ টাউন ক্যাম্পাসের হস্টেলে এক ছাত্র আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। হস্টেলের বাকি আবাসিকদের অভিযোগ, ঘটনার পরে একাধিক বার হস্টেল কর্তৃপক্ষকে ফোন করা হলেও কেউ ধরেননি। শেষে অন্য আবাসিকেরাই গাড়ি ভাড়া করে ওই ছাত্রটিকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। এই ঘটনার পরে হস্টেলের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়াহিদ রহমান নামে উদ্ভিদবিদ্যা অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্র মঙ্গলবার গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু অভিযোগ, বিষয়টি জানাতে বাকি আবাসিকেরা হস্টেল কর্তৃপক্ষকে বহু বার ফোন করলেও কেউ ফোন তোলেননি। উল্টে এক আধিকারিক ফোন সুইচ অফ করে দেন। শেষ পর্যন্ত অন্য ছাত্রেরাই ওই পড়ুয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আপাতত ওয়াহিদের অবস্থা স্থিতিশীল।

এই ঘটনার পরে হস্টেলের আবাসিকেরা সেখানকার পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেন হস্টেল কর্তৃপক্ষকে ফোন করা সত্ত্বেও কেউ তোলেননি এবং দীর্ঘদিনের দাবি মেনে কেন হস্টেলে অ্যাম্বুল্যান্স রাখার ব্যবস্থা করা হয়নি, মূলত এই দু’টি প্রশ্ন তুলে এ দিন বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। উসামা চৌধুরী নামে এক ছাত্রের অভিযোগ, তাঁদের এই ক্যাম্পাস এতটাই নির্জন জায়গায় যে, দিনেও সহজে গাড়ি পাওয়া যায় না। অ্যাপ-ক্যাবও আসতে চায় না। ফলে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সমস্যায় পড়তে হয়। সেই কারণে পড়ুয়ারা বার বার আবেদন করেছিলেন, যেন হস্টেলে অ্যাম্বুল্যান্স রাখার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, একাধিক বার আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি।

Advertisement

কয়েক মাস আগে আলিয়ার ক্যাম্পাসের সামনে পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক ছাত্রের। তখনও ওই পড়ুয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া নিয়ে টানাপড়েন চলেছিল। এর পরেই হস্টেলে অ্যাম্বুল্যান্স রাখার দাবি জোরালো ভাবে ওঠে। উসামা বলেন, “অ্যাম্বুল্যান্স রাখার দাবিতে এ দিন সাধারণ সভা হয়েছে। হস্টেল কর্তৃপক্ষ কেন ফোন ধরেননি, জানতে চাওয়া হয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্সের দাবি না মিটলে এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হস্টেল কর্তৃপক্ষ ক্ষমা না চাইলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।”

যদিও রেজিস্ট্রার সৈয়দ নুরুস সালাম বলেন, “অ্যাম্বুল্যান্সের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। তবে হস্টেলে দু’টি গাড়ি ও দু’জন কর্মী সব সময়ে থাকেন। চালকও থাকেন। তাই রাতে কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। মঙ্গলবার ঠিক কী হয়েছিল, জানতে চাওয়া হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement