কী কী দাবি আন্দোলনকারীদের? —ফাইল ছবি।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হোক। তার পর বিষয়টি তারা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাক সিবিআই। এমনই দাবি তুললেন আরজি করের আন্দোলনকারীরা। শুধু তা-ই নয়, কলকাতা পুলিশের কমিশনার-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ অফিসারের পদত্যাগেরও দাবি তুলেছেন তাঁরা। ওই তালিকায় নাম রয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ সুহৃতা পালেরও।
সপ্তাহখানেক আগে শুক্রবারই আরজি করের জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে এক মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। সেই উত্তেজনার আঁচ ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকেরা লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতাল চত্বরে। ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে ধৃত সেই সিভিক ভলান্টিয়ার সিবিআই হেফাজতে। আন্দোলনকারীদের দাবি, ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের উপযুক্ত প্রমাণ-সহ গ্রেফতার করুক সিবিআই। তার পর তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাক।
শুক্রবার আন্দোলনকারীরা বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছেন। তাঁদের বক্তব্য, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি, কেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগ গ্রহণ করল না স্বাস্থ্যভবন, তা জানাতে হবে, এমন দাবিও জানান আন্দোলনকারীরা।
একই সঙ্গে নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিও জানিয়েছেন আরজি করের আন্দোলনকারীরা। উল্লেখ্য, বুধবার রাতে কয়েক জন হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালান। তাণ্ডব চালানো হয় জরুরি বিভাগে। ভেঙে দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদ মঞ্চ। সে দিনের ঘটনা তুলে ধরেই নিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। তাঁদের আরও দাবি, আরজি করের হামলার ঘটনার দায় নিয়ে পুলিশ কমিশনার, ডিসি (উত্তর) এবং টালা থানার ওসির ইস্তফা দিক। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, দাবি মানা না হলে তাঁরা কাজে ফিরবেন না। এ ছাড়াও হাসপাতালে অরাজনৈতিক ‘স্টুডেন্ট বডি’ গঠনের কথাও শোনা গেল আরজি করের বিক্ষোভকারীদের মুখে।