n বেহাল: খানাখন্দে ভরা সত্য ডাক্তার রোড। শনিবার। ছবি: সুমন বল্লভ
বেহাল রাস্তায় চিনি বোঝাই লরি উল্টে গেল। শুক্রবার গভীর রাতে খিদিরপুরের সত্য ডাক্তার রোডের ঘটনা। তার জেরে শনিবার সকাল ন’টা পর্যন্ত গার্ডেনরিচ রোড, হাইড রোড, সত্য ডাক্তার রোড, কার্ল মাক্স সরণি-সহ গোটা খিদিরপুর এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষ পথ অবরোধ করেন। বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ওই রাস্তা বন্দর কর্তৃপক্ষ সারিয়ে দেবেন বলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে জানিয়েছেন।
অবরোধকারীদের অভিযোগ, কলকাতা বন্দরের এক নম্বর গেট লাগোয়া সত্য ডাক্তার রোডের প্রায় পুরোটাই খানাখন্দে ভর্তি। দীর্ঘদিন ধরে আদি গঙ্গার উপরে খিদিরপুর সেতু বন্ধ থাকায় হেস্টিংস থেকে গার্ডেনরিচ যেতে ওই রাস্তাই ভরসা। এ দিন তাই লরি উল্টে যানজট তৈরি হওয়ায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় মানুষ। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ আনোয়ার খান ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান অবরোধকারীরা। সত্য ডাক্তার রোডের বাসিন্দা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘রাস্তার দু’ধারের নিকাশি ব্যবস্থা পুরোপুরি অকেজো। এ বার তাই রাস্তায় অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি জল জমেছে।’’
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত দশ দিনে প্রায় রোজই সত্য ডাক্তার রোডে দুর্ঘটনা ঘটছে। সপ্তাহ দু’য়েক আগে কলকাতা পুরসভার কমিশনার সত্য ডাক্তার রোড পরিদর্শনে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৪ সেপ্টেম্বর থেকে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত সেই কাজ শুরু না হওয়ায় শনিবার তাঁরা রাস্তা অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন বলে স্থানীয়দের দাবি। এ দিন সকালে কাউন্সিলর মহম্মদ আনোয়ার খান ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরেই বিক্ষোভ শুরু হয়। কাউন্সিলর বলেন, ‘‘টানা বৃষ্টিতে রাস্তার কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না। এখন রাস্তা বন্ধ করে কাজ শুরু হয়েছে।’’
ওই রাস্তার হাল ফেরাতে শনিবার সেখানে নিকাশির কাজ শুরু হয়েছে। তার জন্য এ দিন দুপুরের পরে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, নিকাশি নালার কাজ শেষ হলে ওই রাস্তা মেরামতি করা হবে। কাজের জন্য ওই রাস্তায় যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে কলকাতার ট্র্যাফিক পুলিশ বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং হাওড়া পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। একই ভাবে হাওড়া পুলিশও কলকাতাগামী ভারী গাড়ি নিয়ন্ত্রণে কলকাতার ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।