প্রতীকী ছবি
কলকাতা পুরসভায় বর্তমানে মেয়র পারিষদ পদ নেই। তাই মেয়র পরিষদের বৈঠকও নেই। কিন্তু প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে যাতে নির্দিষ্ট ‘ফরম্যাট’-এ প্রস্তাব জমা পড়ে, তার জন্য সমস্ত দফতরকে সম্প্রতি নির্দেশ দিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। ‘ফরম্যাট’-এ কোনও প্রস্তাব নিয়ে পুর অর্থ দফতর, আইন দফতর ও অন্তর্বর্তী অডিট দফতরের পর্যালোচনাকে নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘মেয়র পরিষদের বৈঠকে যেমন ১৭টি পয়েন্টের ফরম্যাটে প্রস্তাব জমা দিতে হত, প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকের ক্ষেত্রেও তেমন ভাবেই তা জমা দিতে বলা হয়েছে।’’
পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বৈঠকে নির্দিষ্ট ‘ফরম্যাট’-এ প্রস্তাব জমা দেওয়ার রীতি শুরু হয়েছিল বছর পাঁচেক আগে। কারণ, তখনই প্রস্তাবের ‘ফরম্যাট’ সংক্রান্ত সমস্যাটি নজরে এসেছিল। দেখা যাচ্ছিল, আলাদা আলাদা দফতর ভিন্ন ‘ফরম্যাট’-এ মেয়র পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাব জমা দিচ্ছে। অর্থাৎ, একটি নির্দিষ্ট ‘ফরম্যাট’-এ প্রস্তাব আসছে না। তার ফলে কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষেরও সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছিল। সে কারণে ২০১৫-’১৬ সালে পুর কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশিকা জারি করে জানান, পুরসভার সমস্ত দফতরকে নির্দিষ্ট একটি ‘ফরম্যাট’-এ প্রস্তাব জমা দিতে হবে। সেখানে কাজটি কী, তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ, প্রস্তাবিত খরচ, দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া-সহ মোট ১৭টি বিষয়ের উল্লেখ থাকতে হবে। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘প্রস্তাবটি দেখেই যাতে সেটির সম্পর্কে ধারণা করা যায়, তাই ওই ধারা চালু করা হয়েছিল। প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকের ক্ষেত্রেও সেটাই অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।’’