তদন্ত করে দেখা যায়, সত্যিই ওই ল্যাবরেটরিতে করোনার টেস্ট হচ্ছিল—প্রতীকী চিত্র
অবৈধ ভাবে কোভিড-১৯ টেস্ট করানোর অভিযোগে কাঁকুড়গাছির একটি বেসরকারি ল্যাবরেটরির মালিককে বুধবার গ্রেফতার করল পুলিশ। পেশায় চিকিৎসক ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকারি অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও কাঁকুড়গাছিতে নিজের মালিকানাধীন ওই ল্যাবে অবৈধ ভাবে কোভিড-১৯ টেস্ট করানো হচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রতনলাল গুপ্ত। অভিযোগ, ল্যাবের আরও দুই আধিকারিকের সঙ্গে মিলে এ কাজে জড়িত ছিলেন তিনি।
এ দিন স্বাস্থ্য ভবন থেকে কাঁকুড়গাছির ওই ল্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য ভবনের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ল্যাব-মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। এর পর রাতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
ইতিমধ্যেই কাঁকুড়গাছির ওই ল্যাবটি সিল করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ওই ল্যাবরেটরির বিরুদ্ধে ফুলবাগান থানায় এফপআইআর-ও দায়ের করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা।
করোনা টেস্ট-এর জন্য আইসিএমআরের স্বীকৃতি ছিল না ওই ল্যাবরেটরির। এমনকি, রাজ্যের তরফে কোভিড-১৯ টেস্ট-এর জন্য যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও নাম নেই। এর পরেও অবৈধ ভাবে ফুলবাগানের ওই বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে করোনা টেস্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোয়রান্টিন কেন্দ্র দেরিতে, শহরে জাঁকিয়ে বসেছে করোনা?
একটি সূত্র মারফত তা জানতে পারে স্বাস্থ্য দফতর। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখা যায়, সত্যিই ওই ল্যাবরেটরিতে করোনার টেস্ট হচ্ছিল। ধরা পড়ার পর তার পরেই জরিমানার পাশাপাশি ওই ল্যাবরেটরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাড় পেতেই শহর জুড়ে শিকেয় লকডাউন
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মঙ্গলবার রাতে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, ‘ত্রিবেণী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়গনেস্টিক ল্যাবরেটরি’ অবৈধ ভাবে কোভিড-১৯ টেস্টের জন্যে লালারস সংগ্রহ করছিল। তদন্তে জানা যায়, ওই ল্যাবের আইসিএমআর-এর অনুমতিও নেই। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট-২০১৭’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয় স্বাস্থ্য দফতর।
রাজ্যবাসীর উদ্দেশে এটাও বলা হয়েছে, একমাত্র আইসিএমআর অনুমোদিত ল্যাব বা হাসপাতালে এই টেস্ট করা যেতে পারে। এখনও পর্যন্ত ১১টি সরকারি হাসপাতাল এবং ৬টি বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড-টেস্ট হচ্ছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)