সাইবার কাফেতে জাল নতুন নোটও

এমনিতে মামুলি সাইবার কাফে। তবে রাতের অন্ধকারে সেখানে গত এক-দেড় মাস ধরে ছাপা হচ্ছিল নতুন দু’হাজার টাকার জাল নোট!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৭ ০০:১৩
Share:

নজরে: সেই ক্যাফে। —নিজস্ব চিত্র।

এমনিতে মামুলি সাইবার কাফে। তবে রাতের অন্ধকারে সেখানে গত এক-দেড় মাস ধরে ছাপা হচ্ছিল নতুন দু’হাজার টাকার জাল নোট!

Advertisement

টাঁকশাল, অফসেট প্রেসের পর এ বার ডিজিটাল প্রিন্টার। খিদিরপুরে বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া ২৮৩৭টি দু’হাজারি জাল নোট বাগনানের ষষ্ঠীতলায় একটি সাইবার কাফের ডিজিটাল প্রিন্টার থেকে বেরিয়েছিল বলে গোয়েন্দারা জেনেছেন। শুক্রবার রাতে ওই সাইবার কাফের দু’টি প্রিন্টার, হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর শনিবার দোকানের মালিককে লালবাজারের গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেছেন।

ভারপ্রাপ্ত গোয়েন্দাপ্রধান বিশাল গর্গ জানান, ৩০ বছরের ওই যুবকের নাম মুকিদ রহমান মল্লিক। তার বাড়ি বাগনানের পশ্চিম বাইনান গ্রামে।

Advertisement

এই নিয়ে খিদিরপুর জাল নোট কাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়। বৃহস্পতিবার জাল দু’হাজারি নোটে ৫৬ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা-সহ পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

চক্রে জড়িত সন্দেহে বাগনানেরই আর এক যুবকের খোঁজ করছে পুলিশ। সে চক্রের অন্যতম চাঁই বলে গোয়েন্দাদের সন্দেহ।

গোয়েন্দারা জানান, এক সময়ে ভারতীয় টাকার জাল নোট ছাপা হত পাকিস্তানের করাচিতে, সেখানকার টাঁকশালে। গত নভেম্বরে পুরনো নোট বাতিল হওয়ার পর কিছু দিনের মধ্যে মুর্শিদাবাদ ও মালদহে নতুন দু’হাজারি নোটের জাল সংস্করণ উদ্ধার হয়, সেগুলি অফসেট প্রেসে ছাপা। আর এ বার ডিজিটাল প্রিন্টারে ছাপা নোট এল খিদিরপুরে। শনিবার ফের মুর্শিদাবাদে জাল দু’হাজারি নোট ধরা পড়েছে, এ বার ১০০টি। সমশেরগঞ্জ থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে মালদহের এক যুবককে।

এ দিন মুকিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পড়শিদের জটলা। তাঁরা জানান, স্নাতক হওয়ার পর মুকিদ ওই সাইবার কাফে খোলেন। মুকিদের বাড়ির অভিযোগ, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে খিদিরপুরে ধৃত পাঁচ জনের মধ্যে গোয়েন্দারা যাকে চক্রের অন্যতম পান্ডা বলে সন্দেহ করছেন, সেই মানোয়ার মোল্লা ওরফে উজ্জ্বল মাঝেমধ্যে মুকিদের কাছে আসত বলে বাড়ির লোক স্বীকার করে নিচ্ছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement