দেদার বিকোচ্ছে নতুন আনাজ। নিজস্ব চিত্র
টানা কয়েক মাস ধরে শীতের ফুলকপি, বাঁধাকপি খেয়ে একঘেয়েমি এসে গিয়েছিল। বাঙালির মুখে স্বাদ বদলাতে কলকাতার বাজারগুলিতে এসে গিয়েছে গরমের পটল, ঝিঙে, ঢেঁড়স। দাম একটু চড়া। কিন্তু দেদার বিক্রি হচ্ছে মাচার সাদা পটল ও কচি ঢেঁড়স।
শীতের মাঝেই ঢেঁড়স বা মাচার পটল ফলানো এখন বেশ রপ্ত হয়ে গিয়েছে চাষীদের। এর ফলে গরম পড়ার মুখেই বাজারে মিলছে সেই সব আনাজ। কপি বা গাজরের স্বাদ, গন্ধ আর মনের মতো হচ্ছে না। ফলে নতুন আনাজ দিয়ে মেনু বদল করতে উৎসাহিত ক্রেতারাও। শীতের ফুলকপি দিয়ে মাছের ঝোলের বদলে এখন কিছু দিন পটল-আলু-মাছের ঝোল রসনাতৃপ্তিতে নতুন মাত্রা আনবে। শীতের শেষে পটল ফলিয়ে ভাল দাম পান চাষিরাও। কৃষি বিজ্ঞানীরাও কৃষকদের আয় বাড়াতে এমন চাষে জোর দিচ্ছেন।
কলকাতার বাজারগুলিতে প্রথম কিছু দিন সাদা পটলের দাম ছিল ১৫০ টাকা প্রতি কেজি। ঢেঁড়সের দাম ছিল ১০০-১২০ টাকার কাছাকাছি। জোগান খানিকটা বাড়ায় গত রবিবার থেকে পটলের দাম কমে ১০০-৮০ টাকা ও ঢেঁড়সের দাম ৮০ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে। একটু ভাল, নরম ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৬০ টাকায়। কিন্তু তাতেও মানুষ খুশি। দমদম, গড়িয়াহাট, লেক মার্কেটের আনাজ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, পুরনো ফুলকপির জোগান কিছুটা কমেছে। ফলে দামও বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে গিয়ে তাই অনেকেই ফুলকপির বদলে দামি পটল, ঢেঁড়স কিনেই বাড়ি ফিরছেন।
কলকাতার সব চেয়ে বড় পাইকারি বাজার কোলে মার্কেটেও পটল, ঢেঁড়সের চাহিদা রয়েছে। চাহিদার তুলনায় জোগান এখন অনেকটা কম হলেও খদ্দের ধরতে খুচরো আনাজ ব্যবসায়ীরা পসরায় পটল রাখছেন। কোলে মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী সংগঠনের অন্যতম সদস্য উত্তম মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, পটল, ঢেঁড়স সদ্য বাজারে আসছে বলে চাহিদা বেশি রয়েছে। এপ্রিল মাসের শুরু পর্যন্ত বাজারে পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙের দাম ওঠা-নামা করবে বলে তিনি জানান।