Santragachi Lake

Satragachi lake: সাঁতরাগাছি ঝিল মামলায় এ বার বিতর্কে জমির দাম

ফলে প্রস্তাবিত প্রকল্পের সম্ভাব্য খরচ ৩০ কোটি টাকা থেকে নেমে এসেছে ২০ কোটি টাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২১ ০৭:২৩
Share:

ফাইল চিত্র।

জমির দাম সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধান ভূমিকা রাজ্যের ভূমি রাজস্ব দফতরের। তাদের নিয়ম মতোই কোনও জমি লিজ়ে দেওয়া হলে সেটির দাম ঠিক করা হয়। ফলে প্রকল্পের বাস্তবায়নে আদৌ যদি জমির দাম কমাতে হয়, তা হলে ভূমি রাজস্ব দফতরকেই তা কমাতে হবে। এ ব্যাপারে তাদের কিছু করণীয় নেই। জাতীয় পরিবেশ আদালতে অতিরিক্ত হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানাল দক্ষিণ-পূর্ব রেল।

Advertisement

বিতর্কের কেন্দ্রে সেই সাঁতরাগাছি ঝিল ও তার দূষণ! কারণ, ঝিলের দূষণ সংক্রান্ত মামলায় হলফনামা দিয়ে হাওড়া পুরসভা ইতিমধ্যেই আদালতকে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত নিকাশি বর্জ্য পরিশোধন প্লান্ট (এসটিপি) বা ঝিলের দূষণ নিয়ন্ত্রণে তার চার দিকে নর্দমার মালা তৈরির জন্য যে জমি দরকার, তা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের। কিন্তু সেই জমি জবরদখলকারীতে ভর্তি। বহু বার চেষ্টা সত্ত্বেও কিছু করা যায়নি। জমির দাম কমানোর জন্য রেলকে বলা হলেও সমাধানসূত্রে পৌঁছনো যায়নি।

পুরসভার সেই হলফনামার পরিপ্রেক্ষিতেই রেলের এই পাল্টা হলফনামা। সেখানে রেল অবশ্য এ-ও জানিয়েছে, জনস্বার্থের কথা ভেবে রাজ্যের তরফে সংশ্লিষ্ট জমির দাম কমানো হয়েছে। যার ফলে প্রস্তাবিত প্রকল্পের সম্ভাব্য খরচ ৩০ কোটি টাকা থেকে নেমে এসেছে ২০ কোটি টাকায়। কিন্তু হাওড়া পুরসভা এই বিষয়টির কথা হলফনামায় উল্লেখই করেনি। রেলের আরও বক্তব্য, আদালতের নির্দেশ মেনেই প্রস্তাবিত এসটিপি তৈরির ১৮ শতাংশ খরচ তারা বহন করবে। তাই পুরসভা তথা রাজ্যের তরফে জমা দেওয়া প্রকল্প রিপোর্ট আগে খতিয়ে দেখা হবে। সেখানে দেখা হবে মূলত দু’টি জিনিস— প্রকল্পের ফলে পরিবেশের উপরে প্রভাব এবং প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ভাগাভাগি। জবরদখলকারীদের বিষয়ে রেল জানিয়েছে, দখলদারদের উচ্ছেদের নোটিস দেওয়ার পরে সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে রাজ্যের সাহায্য চাওয়া হলেও তা মেলেনি। ফলে এ বিষয়ে হাওড়া পুরসভার দাবি ঠিক নয়।

Advertisement

যদিও পরিবেশকর্মীদের একাংশ রেল-রাজ্যের চাপানউতোরে চূড়ান্ত হতাশ। তাঁদের বক্তব্য, সাঁতরাগাছি দূষণ মামলা চিঠি-পাল্টা চিঠি, হলফনামা-পাল্টা হলফনামার ‘পাকচক্রে’ পড়ে গিয়েছে। এক পরিবেশকর্মীর কথায়, ‘‘২০১৬ সালে যে যে বিষয়গুলির উপরে ভিত্তি করে পরিবেশ আদালতে মামলা হয়েছিল, তার পরে সেই সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষ অগ্রগতিই হয়নি।’’ মামলার আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলছেন, ‘‘বিষয়টি অসহ্য হয়ে উঠছে। কেন্দ্র-রাজ্য বিবাদ হয়েই চলেছে। এ দিকে, দূষণের মাত্রা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement