প্রতীকী ছবি।
সমাজের চোখে ওঁরা অপরাধী। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা খাটছেন। কিন্তু, ওঁদের পা থেকে কোনও ফাউল হলো না। সোমবার দমদম ক্লাইভ ময়দানে সাংবাদিক ও বন্দিদের ওই ফুটবল ম্যাচে জয়ী হলেন বন্দিরাই। ফল ৪-১।
জেলে সংশোধনের অঙ্গ হিসেবে বেশ কয়েক বছর ধরেই নানা পরিকল্পনা করা হয়েছে। নাটক, গান, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড তো আছেই। সংশোধনের অঙ্গ হিসেবে নানা জিনিসপত্র তৈরিও করানো হয় বন্দিদের দিয়ে। সম্প্রতি খেলাধুলোও চালু হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে সেন্ট্রাল জেলগুলিতে তৈরি হয়েছে ফুটবল টিম। কয়েক বছর ধরে প্রতিটি সেন্ট্রাল জেলে টুর্নামেন্টও করছে কারা দফতর। নিয়মিত বাইরের দলের সঙ্গেও ফুটবল খেলেন বন্দিরা। কয়েকটি বাণিজ্যিক টুর্নামেন্টেও অংশ নিয়েছে বন্দিদের দলটি। দমদম, প্রেসিডেন্সি ও আলিপুর— কলকাতার তিন সংশোধনাগারের বন্দিদের নিয়ে গড়া ওই দল সোমবার খেলল সাংবাদিকদের সংগঠন প্রেস ক্লাবের ফুটবল দলের সঙ্গে।
পুরো ম্যাচে ছোট ছোট পাসে পরিচ্ছন্ন ফুটবল খেলে বন্দিরা মন জয় করে নেন দর্শকদের। প্রথমার্ধেই চার গোলে এগিয়ে যান তাঁরা। দ্বিতীয়ার্ধে সাংবাদিকেরা একটি গোল শোধ করেন। ম্যাচের শুরুতে দুই দলের সঙ্গে পরিচয় করেন কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস এবং কারা দফতরের ডিজি অরুণকুমার গুপ্ত। পরে মন্ত্রী বলেন, ‘‘খেলার সঙ্গে থাকলে বন্দিদের মন ভাল থাকে। তাই এ ধরনের কাজে আমরা উৎসাহ দিই।’’
এ দিন বন্দিদের দলে ছিলেন মিঠুন মজুমদার, মহম্মদ নিশাদ, তাপস কর্মকার, গোপাল মান্ডি, বিশ্বনাথ বারুই, আবু হোসেন গায়েন, সোমনাথ মিস্ত্রি, রতন দাস, সুখলাল হেমব্রম, ফারোয়ার হোসেন এবং সুখলাল টুডু। এঁদের এক জন আলিপুর এবং এক জন প্রেসিডেন্সি জেলের বন্দি। বাকি সকলে দমদম জেলের।