প্রতীকী ছবি।
করোনা আবহে সিআইএসসিই বোর্ডের দশম শ্রেণি (আইসিএসই) এবং দ্বাদশ শ্রেণির (আইএসসি) প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে বসে অনলাইনে দিলেও তা হবে কড়া নজরদারিতে। এমনটাই জানিয়েছেন ওই বোর্ডের অধীনস্থ স্কুলগুলির শিক্ষকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে ইতিমধ্যেই কয়েকটি বৈঠক করেছেন বোর্ডের কর্তারা। নজরদারির ক্ষেত্রে যাতে কোথাও ফাঁক না থাকে, সে দিকে বিশেষ ভাবে লক্ষ রাখতে বলা হয়েছে। দুই ক্লাসের প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষাই শুরু হচ্ছে ১৫ নভেম্বর।
বিভিন্ন স্কুলের প্রধানেরা জানিয়েছেন, এই অনলাইন পরীক্ষায় প্রতি ২৫ জন পরীক্ষার্থী পিছু এক জন করে শিক্ষক গার্ড দেবেন। পরীক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক ভাবে ক্যামেরা অন করে পরীক্ষা দিতে হবে। শিক্ষকেরা কেমন ভাবে গার্ড দিচ্ছেন, তা দেখার জন্যও থাকছে বিশেষ নজরদারি। ছাত্রছাত্রীদের পুরো শরীর যাতে ক্যামেরায় দেখা যায়, সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে নজরদার শিক্ষকদের। পরীক্ষার্থীর হাত বার বার অন্য দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কি না, পরীক্ষার্থী ঘর থেকে উঠে অন্য জায়গায় যাচ্ছে কি না— সে সব দেখা হবে। যে ঘরে বসে পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে, সেই ঘরে কারও যাতায়াত আছে কি না, তা-ও খেয়াল রাখবেন গার্ড। বার বার কোনও পরীক্ষার্থী আসন ছেড়ে উঠছে কি না, নজর রাখা হবে সে দিকেও।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে যদি পুজোর পরে স্কুল খুলে যায়, সে ক্ষেত্রেও কি বাড়ি থেকেই ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দেবে? এ প্রসঙ্গে সিআইএসসিই বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন বলেন, ‘‘বোর্ডের এই দুই পরীক্ষা সর্বভারতীয় স্তরে হয়। করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবেই বাড়ি থেকে অনলাইন পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। নভেম্বরে কোন রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি কেমন থাকবে, তা এখনই বলা কঠিন। পুজোর পরে যদি স্কুল খোলে, সে ক্ষেত্রে অভিভাবকেরা চাইলে স্কুলে এসেও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’’
যদিও অভিভাবকদের একাংশের মতে, স্কুলে পরীক্ষা দিতে এসে কেউ সংক্রমিত হলে বাকি পরীক্ষার্থীরা কী ভাবে পরের পরীক্ষাগুলি দেবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিতে পারে। তাই দশম এবং দ্বাদশের প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা কড়া নজরদারিতে বাড়িতে বসেই অনলাইনে হোক।