প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হল এক অন্তঃসত্ত্বার। মৃতার নাম সরিতা দে (২৬)। তাঁর বাড়ি বুদবুদের সুকান্তনগরে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মৃত্যু হয় ওই বধূর। যদিও ডেথ সার্টিফিকেটে বলা হয়েছে, ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে হেমারেজিক শকে।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অসুস্থ হওয়ায় গত ৭ জুন সরিতাকে বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-সহ শহরের সব হাসপাতালই মশার আঁতুড়ঘর। পুরসভার অভিযানে সেখানে ডেঙ্গি জীবাণুর বাহক এডিস ইজিপ্টাই মশার লার্ভা মিলেছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া রোগীদের থেকে অন্য রোগীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। যদিও কলকাতা পুরসভা ডেঙ্গিতে মৃত মহিলার মৃত্যুর ঘটনাকে তেমন আমল দিতে নারাজ। কারণ, ওই রোগী বর্ধমানের বাসিন্দা। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষের দাবি, ‘‘জানুয়ারি মাস থেকে কলকাতা পুরসভা ডেঙ্গি প্রতিরোধের জন্য কাজ করছে। বর্ধমানের কেউ মারা গেলে আমরা কী করতে পারি?’’
তবে পুরসভা বিষয়টিতে তেমন আমল না দিলেও বর্ষা জাঁকিয়ে শুরু হওয়ার আগেই মহানগরে ডেঙ্গি রোগীর সন্ধান মিলতে শুরু করেছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন কয়েক জন। তাঁরা কোন এলাকার, কী ধরনের ডেঙ্গিতে ভুগছেন— তার কোনও তথ্য হাসপাতাল থেকে মেলেনি। মেডিক্যালের সুপার শিখা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের হাসপাতালে এই মুহূর্তে কত জন ডেঙ্গি রোগী ভর্তি আছেন, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না।’’