প্রতীকী ছবি।
১৪ দিন পুলিশি হেফাজত শেষে শুক্রবার ব্যারাকপুর এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হল চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের মৃত্যুতে অভিযুক্ত তাঁর সঙ্গী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে।
অভিযুক্তের আইনজীবী সুদীপ মৈত্র প্রজ্ঞাদীপার মৃত্যুকে দীর্ঘ অবসাদের পরিণতি বলে দাবি করেন। তাঁর যে মনোরোগের চিকিৎসা চলছিল ও নিয়মিত ওষুধ খেতেন, তা-ও উল্লেখ করেন। ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম তন্ময় রায় পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা প্রজ্ঞাদীপারডায়েরির ২০ নম্বর পাতার অংশবিশেষ পড়ে শোনান। যাতে প্রজ্ঞা লিখেছেন, তাঁকে নিচু জাতের দূষিত রক্তের মানুষ সম্বোধন করায় তিনি মর্মাহত হয়েছেন। সরকারি আইনজীবী সুদীপ সরকার বলেন, ‘‘মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার ছিলেন প্রজ্ঞাদীপা। তাঁর পিঠেও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।’’ পরবর্তী শুনানি ২১ জুলাই হবে জানিয়ে অভিযুক্তের ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেন বিচারক। সম্প্রতি জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের তরফে ব্যারাকপুরের নগরপালের কাছে অভিযোগ করা হয়, জাতিগত নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন প্রজ্ঞাদীপা।