ভগ্নদশা: ন’নম্বর ট্যাঙ্কের বেহাল যাত্রাপথ। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
বর্ষার মরসুমের আগেই ফের সল্টলেকের বেশ কিছু অংশে রাস্তার হাল বেহাল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোটি কোটি টাকা খরচ করে সল্টলেকের রাস্তা ম্যাস্টিক অ্যাসফল্টে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যেই বেশ কিছু রাস্তার অবস্থা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। পুরসভার দাবি, খারাপ রাস্তার তালিকা করে মেরামতির বরাতও দেওয়া হয়েছে। তালিকার বাইরে কোনও রাস্তা থাকলে আপৎকালীন মেরামতি করা হবে।
বাসিন্দাদের কথায়, এর আগে সল্টলেকে বিভিন্ন রাস্তা মেরামতি করা হয়েছিল। ম্যাস্টিক অ্যাসফল্টে মোড়া হয়েছিল রাস্তা। কিন্তু মেট্রো প্রকল্প এবং পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্পের জন্য রাস্তা খোঁড়া হয়। পরে মেরামতি করা হলেও ফের রাস্তা খারাপ হয়েছে। কিছু ব্লকের রাস্তাও খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ। তিন নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা সৌমেন রায় জানান, রাস্তা এত দ্রুত খারাপ হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বিভিন্ন প্রকল্পের শেষে দেখা যাচ্ছে সেখানে অস্থায়ী মেরামতি বা তাপ্পি মারা হচ্ছে। তাতেই কিছু দিন পরে রাস্তা আরও খারাপ হচ্ছে।
ন’নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে জিসি ব্লকের রাস্তা, ১৩ নম্বর ট্যাঙ্ক থেকে অনিন্দিতা আইল্যান্ডের দিকে যাওয়ার রাস্তা-সহ সল্টলেকের বিভিন্ন সেক্টরের রাস্তাও একই রকম বেহাল। পুরসভার একাংশের বক্তব্য, বর্ষায় রাস্তা মেরামতি করে লাভ হয় না। উপরন্তু ফের ক্ষতি হয়। তাই আপাতত গাড়ি চলাচল ও হাঁটাচলার উপযুক্ত করা হবে। যদিও বাসিন্দাদের প্রশ্ন, বর্ষায় রাস্তা মেরামতি করলে তা যে বেশি দিন টেকে না, সে তো জানা কথাই। তবে কেন বর্ষার আগেই মেরামতি করা হয় না?
সল্টলেকের জিসি ব্লকের রাস্তা।
ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, সল্টলেকের রাস্তা আগের চেয়ে ভাল হয়েছে। তবে মেট্রো ও জল সরবরাহের মতো প্রকল্পের জেরে কিছু রাস্তা ভেঙেছে। কাজ চালাতে মেরামতি করা হবে। বর্ষার পরে ফের পূর্ণাঙ্গ সারাই হবে।’’