পুলিশি ব্যূহেই জমি মাপলেন বন্দর-কর্তৃপক্ষ

এক মাসের ব্যবধানে তারাতলায় বন্দর-কর্তৃপক্ষের জমি নিয়ে উলটপুরাণের সাক্ষী হলেন এলাকার বাসিন্দারা। মাসখানেক আগে ওখানে নিজেদের জমির দখল নিতে গিয়ে বিন্দুমাত্র পুলিশি সহযোগিতা পাননি বন্দর-কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:০৩
Share:

বন্দরের জমি জরিপের কাজ চলছে তারাতলায়। বুধবার। — নিজস্ব চিত্র

এক মাসের ব্যবধানে তারাতলায় বন্দর-কর্তৃপক্ষের জমি নিয়ে উলটপুরাণের সাক্ষী হলেন এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

মাসখানেক আগে ওখানে নিজেদের জমির দখল নিতে গিয়ে বিন্দুমাত্র পুলিশি সহযোগিতা পাননি বন্দর-কর্তৃপক্ষ। বুধবার কিন্তু তাঁরা সেই জমি মাপজোকের কাজ সারলেন জোরদার পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেই। বিনা বাধায় দু’ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত কাজ সেরে ফিরে গেলেন তাঁরা।

এ দিন সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রতিনিধিকে অবশ্য ঢুকতে দেওয়া হয়নি ওই চত্বরে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ওই জমি থেকে দখলদার উচ্ছেদের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে নিগৃহীত হতে হয়েছিল সাংবাদিকদের। গোটা ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় ওই জমিতে থাকা ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের মালিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী শ্রীকান্ত মোহতা এবং তাঁর সংস্থার কর্মীদের।

Advertisement

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত মঙ্গলবার নির্দেশ দেন, তারাতলার যে-জমি নিয়ে গোলমাল, তার আয়তন কত, সেটি কী অবস্থায় আছে— মাপজোক করে বন্দর-কর্তৃপক্ষকে তার রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে। সেই নির্দেশ মেনেই এ দিন সকাল ১০টায় ওই জমিতে গিয়েছিলেন বন্দরের প্রতিনিধিরা। তাঁরা যাওয়ার আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশবাহিনী। ১৩ সেপ্টেম্বর বন্দর-কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছিলেন, আবেদন জানানো সত্ত্বেও থানার কাছ থেকে তাঁরা কোনও সাহায্য পাননি। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নেমেছিলেন পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ করপুরকায়স্থ। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘‘বিষয়টি বিচারাধীন। পুলিশ সেই মতোই ব্যবস্থা নিয়েছে।’’

এ দিন বন্দর-কর্তৃপক্ষের তরফে যাঁরা জমি মাপজোক করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের এক প্রতিনিধি জানান, এই মামলার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের উপস্থিতিতেই মাপজোকের কাজ হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।

এ দিনই বন্দরের অন্য একটি জমি থেকে দখলদার উচ্ছেদের মামলায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ করপুরকায়স্থ এবং বন্দরের ডেপুটি কমিশনারকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্দর সূত্রের খবর, মাঝেরহাট সেতুর পশ্চিমে দুর্গাপুর সাইডিং এলাকায় ৬০০ বর্গমিটার আয়তনের একটি জমি দখলমুক্ত করতে পুলিশকে সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু ১ অক্টোবর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও ওই জমি থেকে দখলদারদের সরাতে পারেনি বলে অভিযোগ। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ কমিশনার ও বন্দরের ডেপুটি কমিশনারকে তাঁর এজলাসে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement