চলছে বাজি পোড়ানো। রবিবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
ডিজে, উচ্চগ্রামে মাইক নিয়ে আশঙ্কা ছিলই। তা সত্যি করে শনি ও রবিবার, দু’দিনই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে গুচ্ছ অভিযোগ জমা হল। উল্লেখযোগ্য ভাবে, শনিবার পর্ষদের কাছে যে’কটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, তাতে দেখা যাচ্ছে, শব্দবাজির থেকে মাইকের বিরুদ্ধে অভিযোগ বেশি!
পরিবেশকর্মীদের বক্তব্য, মাইক নিয়ে ক্রমাগত প্রচারে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। তাই এত অভিযোগ। কিন্তু সে অভিযোগের বিরুদ্ধে যদি কোনও পদক্ষেপ না করা হয়, তা হলে কোনও লাভ নেই। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রের খবর, শনিবার দায়ের হওয়া ২৪টি অভিযোগের ১৫টিই ছিল মাইক সংক্রান্ত। রবিবার রাত দশটা পর্যন্ত কন্ট্রোল রুম, পরিবেশ অ্যাপ মিলিয়ে পর্ষদের অভিযোগ দায়ের হয় প্রায় ৯০টির মতো। যার মধ্যে মাইক এবং বাজির অভিযোগ সমান। শনিবার সরশুনা, বাঙুর অ্যাভিনিউ-সহ একাধিক এলাকা থেকে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। পর্ষদ সূত্রের খবর, সরশুনায় মাইক বাজানো নিয়ে ভাড়াটে-মালিকের ঝামেলা থামাতে পুলিশকে যেতে হয়। পর্ষদের এক কর্তার কথায়, ‘‘ডিজে, মাইক নিয়ে মানুষ সচেতন হয়েছেন। তাই বেশি জোরে মাইক বাজলেই অভিযোগ আসছে।’’
শুধু অভিযোগ এলেই হবে না, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে বলে সতর্ক করছেন পরিবেশকর্মীরা। তাঁদের সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’-এর কন্ট্রোল রুমেও মাইক নিয়ে একাধিক অভিযোগ এসেছে। পর্ষদের সদস্যেরা জানাচ্ছেন, অনেক জায়গা থেকেই বয়স্ক মানুষ মাইকের আওয়াজে অতিষ্ঠ হয়ে অভিযোগ করেছেন। সংগঠনের তরফে সে অভিযোগ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। অভিযোগ, তার পরেও মাইক থামেনি। সংগঠনের সম্পাদক নব দত্ত বলছেন, ‘‘পুলিশ গেলে হয়তো মাইকের আওয়াজ কম করছে। চলে যেতেই সেই আগের অবস্থা। এ ভাবে হবে না। অভিযোগ পেলেই মাইক বাজেয়াপ্ত করতে হবে। আইনে সে ক্ষমতা রয়েছে।’’