দলের একাংশের সমালোচনা করে ফেসবুক পোস্ট অনুপম হাজরার। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
একের পর এক নেতা দল ছাড়ছেন। কিন্তু ‘গা-ছাড়া’ মনোভাব দেখাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। ভাবখানা এমন, যেন কিছুই যায় আসে না। কিন্তু সত্যিই আসে যায়। অর্জুন সিংহের দলবদলের পর দিন এই মর্মে একটি ফেসবুক পোস্ট করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। তবে আত্মসমালোচনায় মগ্ন অনুপমের এই ফেসবুক পোস্টে ‘অন্য সুর’ দেখছেন রাজনীতির কারবারিরা।
রবিবার অর্জুনের দলবদলের সম্ভাবনা জোরালো হতেই ফেসবুক পোস্টে কটাক্ষ করেছিলেন অনুপম। লিখেছিলেন, ‘আগে পাণ্ডবদের মধ্যে এক জন গণ্য করা হত। কিন্তু কৌরবদের মধ্যেও তাঁকে পাওয়া গেলে কতটা অবাক হব ঠিক বুঝতে পারছি না।’ কিন্তু সোমবার সেই অনুপম বোঝালেন অর্জুনের দলবদলে আখেরে ক্ষতিই হল বিজেপির। ফেসবুক পোস্টে অনুপম লিখেছেন, ‘কেউ দল ছাড়লেই ‘এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না’ বা ‘গুরুত্ব দিতে নারাজ’ বলে নিজেদের সান্ত্বনা না দিয়ে ‘ক্ষতি যে কিছুটা হয়ে গেল’, সেটা মানতে শেখা দরকার বা কেন বারবার ছেড়ে যাচ্ছে সেটা বিশ্লেষণ করা দরকার!’
অনুপম এ-ও মেনে নেন, একটি কাউন্সিলরের আসন জিততেও বিজেপির এখন গলদঘর্ম দশা। এই অবস্থায় ‘উপরের পদমর্যাদার’ কোনও নেতা দল ছেড়ে গেলে তা নিঃসন্দেহে দলের পক্ষে ক্ষতিকর। এর পর আমির খান অভিনীত ‘থ্রি ইডিয়টস্’ সিনেমার সংলাপ উদ্ধৃত করে অনুপম লেখেন, ‘‘অল ইজ ওয়েল’ বলে সান্ত্বনা দেওয়াটা সিনেমাতে ভাল লাগলেও, বাস্তবে সেটা সব সময় না-ও খাটতে পারে।’
প্রসঙ্গত, বাবুল সুপ্রিয়ের পর অর্জুন সিংহ বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। ফলে, বিজেপির ১৮ সাংসদের মধ্যে দু’জন এখন তৃণমূলে। যদিও বাবুলের মতো সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দলত্যাগ করেননি অর্জুন। এমনকি, বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতির পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন, এমন খবরও পাওয়া যায়নি। তবে রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ বিজেপিকে তোপ দাগেন। জানান, ফেসবুক পোস্ট করে সংগঠন পরিচালনা করা সম্ভব নয়। যদিও অনুপম হাজরা দলের সংগঠনের সমস্যার সমালোচনা করলেন সেই ফেসবুকেই।