BJP

ভগবানপুরে শুভেন্দুর সভার পরে মঙ্গলবার রাতভর উত্তেজনা, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ

ভোট ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই তেতে উঠছে রাজ্যের পরিস্থিতি। এই মুহূর্তে তৃণমূল-বিজেপি কার্যত সম্মুখসমরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভগবানপুর শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:১৮
Share:

আহত বিজেপি কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভার পর মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে রাতভর। বোমাবাজি চলে বলেও অভিযোগ।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে ভগবানপুর ১ নম্বর ব্লকের শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সভা করেন শুভেন্দু। ছিলেন রাজ্য বিজেপি-র অন্য কয়েক জন নেতা। সেই সভা শেষে সংঘর্ষ শুরু হয় বলে অভিযোগ। হামলা, পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিভিন্ন এলাকা।বিজেপি-র অভিযোগ, দলীয় সভা থেকে ফেরার পথে কর্মীদের উপরে হামলা চালানো হয়। ৩ বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একই সঙ্গে অভিযোগ, গভীর রাতে বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি স্বপনকুমার প্রধানের বাড়িতে বোমাবাজি চলে। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, যুব তৃণমূলের স্থানীয় সহ-সভাপতি শুভ্রকান্তি বায়েনের বাড়িতেও হামলা চলে।

স্বপনের দাবি, ‘‘মঙ্গলবার শিমুলিয়া অঞ্চলে জনসভা হয়। সভা শেষ হওয়ার পরে সমর্থকরা যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন ট্রেকারে হামলা চলে। এই ঘটনায় ৩ জন জখম হন। এর পর রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ আমার বাড়িতে লাগাতার বোমাবাজি চলে। বাড়ির দরজা, জানালা ভেঙে যায়। বাড়ির সামনেও ভাঙচুর চালায়।’’ তৃণমূলের তরফে যে হামলার অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা বলেও দাবি স্বপনের।

Advertisement

অন্য দিকে, যুব তৃণমূল নেতা শুভ্রকান্তির বক্তব্য, “মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীর সভা ছিল। তার আগের দিন থেকেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ওরা এলাকায় ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছিল। সোমবার রাত ১২টা নাগাদ তৃণমূলের পতাকা ছেঁড়া হয়। তবে হাতেনাতে ধরে ফেলায় ক্ষমা চাইলে ওদের ছেড়ে দেওয়া হয়। রাতে আরও কয়েক জন বহিরাগত যুবককে এলাকায় ঘোরাফেরা করতে ধরে ফেলায় কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়। মঙ্গলবার সভায় মিছিল যাওয়ার সময়ও দলের ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়।”

শুভ্রকান্তির দাবি, তাঁর বাড়িতেও বোমাবাজি হয় মঙ্গলবার রাত। তিনি বলেন, “আমার বাড়িতে গিয়েও হুমকি দেওয়া হয় বিজেপি-র মিছিল থেকে। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগও জানানো হয়েছে। এর পর রাত্রি প্রায় ১০টা নাগাদ বাড়ির ওপর একের পর এক বোম মারা হয়। ভয়াবহ আওয়াজে সবাই ছুটে আসে। তখনই তৃণমূল সমর্থকদের লক্ষ্য করেও বোমা ছোড়া হয়েছে। প্রতিবাদে তৃণমূল কর্মীরা রাতেই পথ অবরোধ করে। এর পরেই দুষ্কৃতীরা বাইকে চেপে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement