ফাইল চিত্র।
গত বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতায় তিন দফার ভোটে দু’একটি ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহণ পর্ব মিটেছিল নির্বিঘ্নেই। আগামী সপ্তাহে ভবানীপুরে ‘হাই ভোল্টেজ’ উপনির্বাচন। সেই ভোট যাতে নির্বিঘ্নে হয় তার জন্য ভবানীপুর কেন্দ্রে মোতায়েন করা হচ্ছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইতিমধ্যে ১২ কোম্পানি বাহিনী চলে এসেছে কলকাতায়। প্রতিদিন ওই বাহিনী ভবানীপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত চেতলা, কালীঘাট, একবালপুর, ভবানীপুর এলাকায় নিয়ম করে টহল দিচ্ছে।
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এ বার তৃণমল কংগ্রেসের প্রার্থী খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল এবং সিপিএমের শ্রীজীব বিশ্বাস। ওই কেন্দ্রে মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৯৮। অন্য দিকে, বুথের সংখ্যা ২৮৭।
সূত্রের খবর, প্রতি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকার কথা ভোটের সময়ে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ভোটগ্রহণের দিন নিরাপত্তার জন্য কুইক রেসপন্স টিমে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।
অন্য দিকে, কলকাতা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সেক্টর মোবাইল। ২২টি সেক্টর মোবাইল ভোটের দিন এলাকায়
টহল দেবে।
নির্বাচনের প্রচারের সময়ে যাতে কোনও রকম গোলমাল না হয়, তার জন্য সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে এলাকায়। রাজনৈতিক দলগুলি প্রচারে পথসভার আয়োজন করলে পুলিশের পক্ষে সেখানে মোটরবাইক বাহিনী এবং অফিসারের নেতৃত্বে বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
ভবানীপুর বিধানসভার অধীনে রয়েছে কলকাতা পুলিশের ১১টি থানা। প্রতিটি থানাকে ওই নিয়ম মেনে বাহিনী মোতায়েনের জন্য লালবাজার নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে লালবাজারের একটি সূত্র দাবি করেছে।
ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার দিনই করোনার জন্য ভোটের প্রচারের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে পাঁচ জনের বেশি মানুষকে নিয়ে জমায়েত করায় নিষেধ রয়েছে। পথসভায় একসঙ্গে থাকতে পারবেন ৫০ জন। তারকা প্রচারকদের নিয়ে কোনও সভা হলে সেখানে এক হাজারের বেশি কাউকে থাকতে দেওয়ার নিয়ম নেই।