প্রতীকী ছবি।
গত পুরভোটের দিন গোলমাল থামাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক। এ বারও পুরভোটের প্রাক্কালে শহরের দু’টি জায়গায় অস্ত্র ব্যবহার করেছে দুষ্কৃতীরা। তাই আগামী রবিবার, ভোটের দিন শহরের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গত কয়েক মাসে যে সব এলাকায় গোলমাল হয়েছে, সেখানে নজরদারি আরও কঠোর করেছে লালবাজার। গত কয়েক মাসে কোন কোন দুষ্কৃতী বাড়াবাড়ি করেছে, তারও একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে এ বার বদ্ধপরিকর লালবাজার। তাই থানাগুলির সঙ্গে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখাকেও আরও সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, গত কয়েক মাসে শহরের কোথায় কোথায় গোলমাল হয়েছে এবং কারা তাতে যুক্ত ছিল, তা চিহ্নিত করে তাদের উপরে নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ, যাতে ভোটের দিন সেই দুষ্কৃতীরা গন্ডগোল করতে না পারে। প্রয়োজনে তাদের নজরবন্দি করার কথা ভেবেছে গুন্ডা দমন শাখা।
লালবাজার সূত্রের খবর, দাগি অপরাধীদের সম্পর্কে সতর্ক করা ছাড়াও তাদের সম্পর্কে তথ্য জানা গেলে তা লালবাজারকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে থানাগুলিকে। কোনও দুষ্কৃতী গোলমাল করতে পারে মনে হলে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছে লালবাজার। শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে বুধবার বাহিনীর সব স্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। পরে তিনি বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য যা যা ব্যবস্থা করার, তা আগেই করেছি।’’ বৈঠকে এক পুলিশকর্তা জানান, প্রশাসন চায় স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট করাতে। ভোট যাতে নির্বিঘ্নে হয়, তা কলকাতা পুলিশকে দেখতে হবে। কিছু সমস্যা হতে পারে। কিন্তু কলকাতা পুলিশকে তার সম্মান বজায় রাখতে হবে ও শান্তিতে ভোট করাতে হবে।
আগামী রবিবার কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের নিবার্চন। মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ১৬৫৬টি, বুথের সংখ্যা ৪৯৫৯। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা বাদে সব থানা এলাকাতেই ভোট হবে ওই দিন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটগ্রহণের দাবি উড়িয়ে কমিশন জানিয়েছে, প্রতি বুথে থাকবে কলকাতা পুলিশ বাহিনী। লালবাজারও জানিয়েছে, তারা প্রস্তুত। সিপি বলেন, ‘‘নিজেদের পুলিশ দিয়েই সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে পারব। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, নির্বিঘ্নে ভোট করাতে পারব।’’