—ফাইল চিত্র।
নির্ধারিত সময়ে ভোট হলে এখনও বাকি চার মাস। কিন্তু ভোটের উত্তাপে পারদ চড়তে শুরু করেছে শহর জুড়ে। তবে সেই উত্তাপ যাতে কোনও ভাবেই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না করে, সে জন্য রাজনৈতিক দলের যে কোনও অনুষ্ঠানকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ গেল কলকাতা পুলিশ এলাকার প্রতিটি থানায়।
শনিবার হেস্টিংসে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী, দুই দলের কর্মীদের মধ্যে বচসার উপক্রম হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ায় বড় কিছু ঘটেনি বলে জানিয়েছে লালবাজারের একটি সূত্র। ভোট যত এগিয়ে আসবে, এমন পরিস্থিতি আরও তৈরি হবে। শাসক বা বিরোধী, যে কোনও দলের সমাবেশ ও মিছিলের জন্য যাতে আইনশৃঙ্খলায় প্রভাব না পড়ে, ওসিদের তা দেখতে বলা হয়েছে। বড় কিছু নয়, ছোট রাজনৈতিক সমাবেশ বা মিছিল, তাই সংশ্লিষ্ট থানা সেটিকে ততটা গুরুত্ব দিল না— এমন যাতে না হয়, সেই বার্তা রবিবারই পৌঁছে গিয়েছে থানায় থানায়।
এক পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, রাজনৈতিক সমাবেশ ও মিছিলের কথা সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিভিশনাল ডেপুটি কমিশনার বা যুগ্ম কমিশনারের (সদর) নজরে আনতে বলা হয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, আসন্ন ভোটকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দল মিছিল-সমাবেশ শুরু করে দিয়েছে। মাঝেমধ্যেই তা থেকে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তাই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না পুলিশকর্তারা। যে কারণে বাহিনীকে সতর্ক করে তাঁরা মিটিং-মিছিলের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রাখতে বলেছেন থানাগুলিকে। অবস্থা সামাল দিতে প্রয়োজনে লালবাজার থেকে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানোও হবে।
আরও খবর: সোমবার বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রী, রোড শো মঙ্গলবার, থিমে রবীন্দ্রভাবনা
আরও খবর: রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণের হার কমল, কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যায় ফের উদ্বেগ
পুলিশের একটি অংশের মতে, ১০ ডিসেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিরাকোলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। যার ভিত্তিতে তিন আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কলকাতা পুলিশ এলাকায় তেমন কোনও ঘটনা যাতে ঘটনা না ঘটে, তার জন্যই এই পদক্ষেপ।