পুলিশি নজরে আয়া সেন্টার

পরিচারক-পরিচারিকা থেকে শুরু করে কেয়ারটেকার এবং আয়াদের বাড়িতে নিযুক্ত করলে তাঁদের তথ্য যাতে বাসিন্দারা পুলিশকে জানান, সে জন্য একাধিক বার পুলিশের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু তার পরেও যে আশানুরূপ সাড়া মিলছে না, সল্টলেকে একটি চুরির ঘটনায় ফের তা সামনে এল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১২
Share:

পরিচারক-পরিচারিকা থেকে শুরু করে কেয়ারটেকার এবং আয়াদের বাড়িতে নিযুক্ত করলে তাঁদের তথ্য যাতে বাসিন্দারা পুলিশকে জানান, সে জন্য একাধিক বার পুলিশের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু তার পরেও যে আশানুরূপ সাড়া মিলছে না, সল্টলেকে একটি চুরির ঘটনায় ফের তা সামনে এল। যদিও ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চুরির সামগ্রী উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোদপুর থেকে গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম সোমা মালাকার। তিনি সল্টলেকের একটি বাড়িতে আয়ার কাজ করতেন। ধৃতকে শুক্রবার বিধাননগর আদালতে তোল হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়।

Advertisement

এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার আয়া সেন্টারগুলির কাজকর্ম নিয়ে। কয়েকটি সেন্টার থেকে কিছু কিছু অভিযোগও পুলিশের কাছে এসেছে। তার ভিত্তিতে তারা জানিয়েছে, এ বার থেকে আয়া সেন্টারগুলির উপরে নজরদারির পাশাপাশি সেখানে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করার পরিকল্পনা চলছে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিধাননগর দক্ষিণ থানার এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, তাঁর বাড়ি থেকে উধাও প্রায় ১০ ভরি সোনার গয়না। খোঁজ মিলছে না আয়ারও। অভিযোগকারিণীকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জেনেছে, তিনি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। বাড়িতে আছেন বৃদ্ধা মা। মায়ের দেখভালের জন্য ওই মহিলা কেষ্টপুরের একটি আয়া সেন্টারে যোগাযোগ করেছিলেন। সেখান থেকেই সোমাকে পাঠানো হয়।

Advertisement

অভিযোগকারিণী পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, তাঁর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে মা এবং ওই আয়া ছাড়া আর কেউ থাকতেন না। চুরির অভিযোগ পেয়ে তাই প্রথমেই সোমার উপরে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। কিন্তু ওই মহিলার কাছে সোমার কোনও তথ্যই ছিল না। শেষে কেষ্টপুরের আয়া সেন্টার থেকে সোমার ঠিকানা সংগ্রহ করে পুলিশ। তার পরেই বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় সোমা গয়না চুরির কথা স্বীকার করেছেন।

বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, আয়া সেন্টারগুলি কী ভাবে কর্মী নিয়োগ করছে, তাঁদের তথ্য খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে কি না, সেই সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপও করা হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement