তখন মোহরকুঞ্জ থেকে সব লোকজন বেরিয়ে গিয়েছে। নিয়মমাফিক শেষ মুহূর্তের টহলদারিতে ব্যস্ত নিরাপত্তারক্ষীরা। হঠাত্ই তাঁদের চোখ পড়ল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের দিকের একটা উচুঁ গাছে। অন্ধকারে মনে হচ্ছিল গাছের ডাল থেকে কিছু একটা যেন ঝুলছে। সামনে যেতে ছবিটা আরও স্পষ্ট হল। নিথর দেহ। খবর গেল পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে মোহরকুঞ্জ থেকে ঝুলন্ত ওই দেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম চন্দ্রশেখর পাত্র। বয়স ৪৫। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে। বেশ কিছু দিন আগে তাঁর ভাই দিলীপ পাত্রের গলব্লাডারে স্টোন ধরা পড়ে। গত বৃহস্পতিবার চন্দ্রশেখর এবং তাঁর অন্য দুই ভাই চিকিৎসার জন্য দিলীপবাবুকে এসএসকেএম-এ ভর্তি করেন। এসএসকেএম হাসপাতালে রোগীর বাড়ির লোকেদের থাকার জায়গাতেই থাকছিলেন চন্দ্রশেখরবাবু। তাঁর বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে হঠাৎ তিনি হাসপাতাল থেকে বেপাত্তা হয়ে যান। মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়ায় তাঁর সঙ্গে কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। ঠিক কী কারণে তিনি হঠাৎ করে কাউকে কিছু না বলে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।
আরও পড়ুন: তরুণীকে ধাওয়া, অভিযুক্ত ক্যাবচালক
অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। মোহরকুঞ্জের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।