বমাল: পবিত্রবাবুর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া খাতা। নিজস্ব চিত্র
তিনি পেশায় হিসাবরক্ষক। চাটার্ড অ্য়াকাউন্টান্ট সংস্থার কর্মী। আর তাঁকে দিয়েই দেখানো হচ্ছিল চাটার্ড অ্যাকাউন্টান্সির সর্বভারতীয় পরীক্ষার খাতা। এমন অনিয়মই প্রকাশ্যে আনক কলকাতা পুলিশ।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি পরীক্ষা ঘিরে বেআইনি কার্যকলাপ চলছে—গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে, বুধবার রাতে বাগবাজারের একটি বাড়িতে হানা দেয় শ্যামপুকুর থানা। রাধামাধব গোস্বামী লেনের ওই বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ ২৫০টি চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি পরীক্ষার খাতা উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ওই পরীক্ষাটি হয়েছিল। এই পরীক্ষাটি নেয় দ্য ইনস্টিটিউট অব চাটার্ড অ্যাকাউন্টান্স অব ইন্ডিয়া। তদন্তকারীদের দাবি, বাড়ির মালিক পবিত্র রায়কে জেরা করলে তিনি স্বীকার করেন যে তিনি দ্য ইনস্টিটিউট অব চাটার্ড অ্যাকাউন্টান্স অব ইন্ডিয়ার অনুমোদিত পরীক্ষক নন।
তাহলে তাঁর কাছে কী ভাবে এল খাতা? পুলিশের দাবি, পবিত্রকে জেরা করে জানা যায়, তাঁকে ওই খাতা দেখতে দিয়েছিলেন নরেন্দ্রপুরের সুরজিৎ দত্ত নামে এক ব্যক্তি। এর পরই পুলিশ সুরজিতের বাড়িতে হানা দেয়। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে হদিশ মেলে আরও ৩০০টি খাতার। জেরায় জানা যায়, সুরজিত নিজে চাটার্ড অ্য়াকাউন্টান্ট। তাঁর নিজের সংস্থাও আছে। তাঁর সংস্থাতেই চাকরি করেন পবিত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় সুরজিত জানিয়েছেন তাঁকে ওই খাতা দেখতে দিয়েছিল দ্য ইনস্টিটিউট অব চাটার্ড অ্যাকাউন্টান্স অব ইন্ডিয়া। তিনি সেই খাতা নিয়ম ভেঙেই দেখতে দিয়েছিলেন পবিত্রকে।
লেখা রয়েছে সুরজিৎ দত্তের নাম-ঠিকানা। নিজস্ব চিত্র
কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই দু’জনকেই প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের এদিন আদালতে পেশ করা হলে বিচারক শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেছে। তদন্তকারীদের ইঙ্গিত, পরীক্ষা ঘিরে একটি চক্র কাজ করছে বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা দ্য ইনস্টিটিউট অব চাটার্ড অ্যাকাউন্টান্স অব ইন্ডিয়ার পদাধিকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে প্রয়োজনে তাঁদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: বাসে জানলার বাইরে যাত্রীর হাত, পিলারে ধাক্কা লেগে কেটে পড়ল কলকাতার রাস্তায়
আরও পড়ুন: রাতের কলকাতায় ফের হেনস্থার শিকার টলি অভিনেতা, নিগ্রহ করা হল তাঁর বান্ধবীকেও