প্রতীকী ছবি।
প্রসূতির মৃত্যুর পর চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় সিএমআরআই হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলল পুলিশ। লালবাজার জানিয়েছে, একবালপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালের তিন জন কর্মীর বয়ান নথিবদ্ধ করেছেন তদন্তকারীরা। চিকিৎসককে চড় মারার সময়ে কোন কোন কর্মী এবং চিকিৎসক ছিলেন, তাঁদের তালিকা নেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। সেই মতো আগামী সপ্তাহে বাকি প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নথিভুক্ত করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত পিঙ্কি ভট্টাচার্যের স্বামী তপেন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আলিপুর থানায় অভিযোগ করেছেন নিগৃহীত চিকিৎসক বাসব মুখোপাধ্যায়। পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত করছে। তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য তপেনকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার তিনি থানায় আসেননি। নিয়মানুযায়ী ফের নোটিস পাঠানো হবে। তদন্তকারীদের অনুমান, আজ, রবিবার অথবা আগামিকাল সোমবার তিনি তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন।
পুলিশি তদন্ত প্রসঙ্গে মৃতার স্বামী জানান, তিনি আলিপুর থানার ফোন পেলেও লিখিত বার্তা পাননি। তপেন বলেন, ‘‘পুলিশকে জানিয়েছি, আমাকে ডাকা হলে সহযোগিতা করব।’’ চড়-কাণ্ড প্রসঙ্গে দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘উত্তেজনার বশে চিকিৎসককে চড় মেরেছিলাম। অভিযোগ দায়ের করে আমাকে তলব করা হচ্ছে। ওই চিকিৎসককে কী একই ভাবে ডাকা হয়েছে? স্ত্রী চলে যাওয়ার পরে সদ্যোজাত সন্তানের অভিভাবক আমি। আমার আবেদন, আমাকে যেন গ্রেফতার করা না হয়।’’ হাসপাতাল সূত্রের খবর, সদ্যোজাত সুস্থ রয়েছে।
আরও পড়ুন: হুইলচেয়ারে বসেই মৃত্যু, উদ্ধার যুবকের দেহ
প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ হয়েছে আলিপুর থানায়। মামলা রুজু না হলেও মৃতার চিকিৎসা সংক্রান্ত সব নথি হাসপাতাল থেকে নিয়ে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে পাঠানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগপত্র রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে আগেই পাঠানো হয়েছিল। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সম্পাদক কৌশিক চাকী এ দিন বলেন, ‘‘ময়না-তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এলে চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল কি না, স্পষ্ট হয়ে যাবে। অস্ত্রোপচারজনিত জটিলতায় রোগীর মৃত্যু যে হয়নি, তা ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে বলে জেনেছি। এম্বোলিজম মৃত্যুর কারণ কি না, তা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে স্পষ্ট হবে। এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।’’