প্রতীকী ছবি।
চোদ্দো বছরের মেয়েটি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে, ছবি আঁকতে ভালবাসে। অভিযোগ, মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল পরিবার। বারাসতের কাছে বামনগাছির ঘটনা। খবর পেয়ে রবিবার সেই মেয়ের বিয়ে রুখে দিল দত্তপুকুর থানার পুলিশ। আবার স্কুল যেতে পারার আনন্দে পুলিশ ‘কাকুদের’ জড়িয়ে কেঁদেও ফেলল সেই মেয়ে।
পুলিশ জানায়, রবিবার বামনগাছির মালিয়াকুড়ে ওই নাবালিকার বিয়ের আয়োজন করে পরিবার। থানায় ফোন করে পুলিশের কাছে সেই খবর দেন প্রতিবেশীরা। এর পরেই বিয়ের অনুষ্ঠানে হানা দেয় পুলিশ। বামনগাছির ভোলানাথ হাইস্কুলের ছাত্রীটি পুলিশকে জানায়, সে পড়তে চায়। পরিবারের চাপেই বিয়ে করতে হচ্ছে তাকে।
নাবালিকা অবস্থায় মেয়ের বিয়ে দেওয়া যে অপরাধ এবং অল্প বয়সে বিয়ে দিলে যে মেয়েটিরই শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয় সে বিষয়ে পরিবারকে বোঝায় পুলিশ। এর পরেই বন্ধ হয় বিয়ে। মেয়েটির পরিবার পুলিশকে কথা দেয়, অন্তত ১৮ বছর বয়স না হলে তাঁরা আর মেয়ের বিয়ে দেবেন না। সোমবার মেয়েটির বাবা বলেন, ‘‘নিজের অজান্তেই একটা বড় ভুল করে ফেলেছিলাম। পুলিশ এসে মেয়েকে এবং আমাদের বাঁচিয়ে দিল।’’ আর মেয়ের কথায়, ‘‘ভেবেছিলাম লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেল। পুলিশ কাকুদের জন্যই আমি আবার পড়াশোনা করতে, ছবি আঁকতে পারব।’’