উৎসব: বড়দিনের আগে সেজে উঠেছে পার্ক স্ট্রিট। সেখানেই সার দিয়ে দাঁড়িয়ে গাড়ি। বৃহস্পতিবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
আলো ঝলমলে রাস্তা। রঙিন টুপির বাহার। থিকথিকে ভিড়ের সঙ্গে রকমারি আওয়াজ। বড়দিনের আগেই রীতিমতো জমজমাট পার্ক স্ট্রিট। বছর শেষের উৎসব
উদ্যাপনে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে রেস্তরাঁ-পানশালাগুলিতে। সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে চিকিৎসকদের সতর্কবাণী উড়িয়েই বর্ষশেষের উৎসবে শামিল হয়েছেন শহরবাসী। আর তাই পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন এলাকায় ভিড়ের চাপ সামাল দিতে বৃহস্পতিবার থেকেই নাজেহাল অবস্থা পুলিশের। তবে বড়দিনকে কেন্দ্র করে পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিশেষ বন্দোবস্ত করেছে
কলকাতা পুলিশ।
বছর শেষের উৎসবের আনন্দে দিনকয়েক ধরেই ভিড় বাড়ছে পার্ক স্ট্রিট, ময়দান, ভিক্টোরিয়া] সংলগ্ন এলাকায়। এ দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিড় বেড়েছে পার্ক স্ট্রিটে। বিকেল হতেই জমজমাট গোটা এলাকা। সন্ধ্যায় ফুটপাতের ভিড় নেমে আসে রাস্তায়। দুপুর থেকে পার্ক স্ট্রিটের একাধিক রেস্তরাঁয়
ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সন্ধ্যায় সেগুলির সামনেই লম্বা লাইন। বান্ধবীকে নিয়ে দমদম থেকে পার্ক স্ট্রিটে এসেছিলেন পল্লব ভট্টাচার্য। বললেন, ‘‘গত বছর তো
করোনার জন্য আসা হয়নি। ভিড় এড়াতে এ বছর একটু আগেই এলাম। কিন্তু কোথায় ফাঁকা! চার দিকে তো শুধু লোকের মাথা।’’
ইতিমধ্যেই পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন এলাকায় পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বর্ষশেষের উৎসব উপলক্ষে রাজ্য সরকার রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করায় আজ, শুক্রবার থেকে ভিড় আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বড়দিনকে কেন্দ্র করে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আজ থেকেই পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন এলাকায় তিন হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন। সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীর
পাশাপাশি থাকবেন প্রচুর মহিলা পুলিশকর্মীও। পার্ক স্ট্রিট-সহ আশপাশের রাস্তা এবং পার্কগুলিতেও বাড়তি পুলিশকর্মী মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া
সিসি ক্যামেরা এবং ১১টি ওয়াচটাওয়ারের মাধ্যমে এলাকায় নজরদারি চালানো হবে। থাকছে ১০টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র। নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিকেরা।
লালবাজার সূত্রের খবর, বড়দিনের ভিড় নিয়ন্ত্রণে পার্ক স্ট্রিট মোড়ের কাছে পুলিশের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। রাখা হচ্ছে কুইক রেসপন্স টিম। পথে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও বাড়তি ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ভিড় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কোভিড-বিধি মেনে জনতাকে উৎসব পালন করানো একটা চ্যালেঞ্জ। সেই দিকেই বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে দিকেও নজর থাকছে।’’