জলসঙ্কট মেটান, ফোনে আর্জি মেয়রকে

গড়িয়া সংলগ্ন ব্রহ্মপুর এলাকার ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, পুলিশের ওই অতিরিক্ত ওসি-র কথা শুনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম তাঁকে বলেন, ‘‘আপনারা আমাদের রক্ষা করেন। আপনাদের ভরসায় সমাজে আমরা বাস করি। আর আপনি এই সামান্য ব্যাপারে আত্মহত্যা করার কথা ভাবছিলেন?’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:০৩
Share:

ফিরহাদ হাকিম।

তিনি বাস করেন ফ্ল্যাটে। কিন্তু সেখানে পরিস্রুত পানীয় জলের সঙ্কট এতই তীব্র যে, সেই ক্ষোভে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। বুধবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে এমনই কথা শোনালেন এক পুলিশকর্তা। মেয়রকে তিনি বলেন, ‘‘কয়েক বছর ধরে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছি। গার্ডেনরিচের পরিস্রুত জল পাই না। গভীর নলকূপের জল আসে। তাতে জামাকাপড়ে দাগ পড়ে যায়। ওই জল খাওয়ার অযোগ্য। একটা কিছু ব্যবস্থা করুন। বছর দু’য়েক আগে জলের অভাব মানতে না পেরে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম।’’

Advertisement

গড়িয়া সংলগ্ন ব্রহ্মপুর এলাকার ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, পুলিশের ওই অতিরিক্ত ওসি-র কথা শুনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম তাঁকে বলেন, ‘‘আপনারা আমাদের রক্ষা করেন। আপনাদের ভরসায় সমাজে আমরা বাস করি। আর আপনি এই সামান্য ব্যাপারে আত্মহত্যা করার কথা ভাবছিলেন?’’ পরে তাঁকে আশ্বস্ত করে মেয়র বলেন, ‘‘ব্রহ্মপুরে একটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। আরও এক বছর সময় লাগবে। গার্ডেনরিচেও জল উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। সব হয়ে গেলে আপনাদের সমস্যা মিটে যাবে। পরিস্রুত পানীয় জল পাবেন।’’ এ দিন উল্টোডাঙায় একটি বেআইনি বাড়ি তৈরি নিয়েও অভিযোগ আসে। ডিজি (বিল্ডিং)-কে সেটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন মেয়র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement