লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
মুচিপাড়া থানা এলাকার নবীনচাঁদ বড়াল লেনে কৃষ্ণমন পোদ্দার নামে এক প্রৌঢ়কে মারধরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। জখম ওই ব্যক্তিকে পুলিশ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে চলে যায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবার লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই ঘটনার সূত্রপাত কী ভাবে হয়েছিল, ঠিক কী ঘটেছিল এবং পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
এ দিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণমনকে বুধবার রাতেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রহৃত ওই ব্যক্তি ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি বিশ্বরূপ দে-র অনুগামী। বিশ্বরূপ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘কৃষ্ণমনকে আইসিসিইউ-তে রাখা হয়েছে। ওঁর পাঁজরের হাড় ভেঙেছে। হাসপাতাল থেকে জানতে পেরেছি, কৃষ্ণমনের অবস্থা স্থিতিশীল।’’
বুধবার রাতে মুচিপাড়া থানা এলাকার নবীনচাঁদ বড়াল লেনে কৃষ্ণমনকে কয়েক জন মারধর করেন বলে অভিযোগ। বিশ্বরূপের অভিযোগ, বছর ষাটেকের ওই প্রৌঢ়কে পুলিশ উদ্ধার করার পরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গেটের সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। তিনি হাসপাতালে পৌঁছনোর পরে ওই ব্যক্তিকে সেখানে ভর্তি করা হয়। রাতে খাবার কিনে বাড়ি ফেরার সময়ে কৃষ্ণমনের উপরে হামলা চালানো হয়। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই হামলা বলে অভিযোগ ওঠে।
হামলার পরেই সেই রাতে বিশ্বরূপ বলেছিলেন, ‘‘যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে সকলেই তৃণমূল। দলের পক্ষে এটা ভাল হচ্ছে না। সংগঠনের পক্ষেও ভাল হচ্ছে না।’’ এ দিন বিশ্বরূপ আবার বলেন, ‘‘কৃষ্ণমন নিরীহ মানুষ। একটি দোকানে কাজ করেন।
নবীনচাঁদ বড়াল লেন ও প্রেমচাঁদ বড়াল লেনে এলাকা দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় তিনি মার খান বলে জানতে পেরেছি।’’