দগ্ধ: আগুন নিভে যাওয়ার পরে ডিসি (ইএসডি)-র কার্যালয়। বুধবার, বেলেঘাটায়। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
কলকাতা পুলিশের কার্যালয়েই আগুন-আতঙ্ক। ইস্টার্ন সাবার্বান ডিভিশনের (ইএসডি) ডিসির কার্যালয়ে বুধবার ভোরে ওই ঘটনার সময়ে বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তবে কেউ হতাহত হননি। প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ঘটনাস্থলে তারের জট নিয়ে নাজেহাল হতে হয়েছে দমকলকর্মীদের।
বেলেঘাটার হেমচন্দ্র নস্কর রোডে একটি তিনতলা বাড়িতে ডিসি (ইএসডি) প্রিয়ব্রত রায়ের কার্যালয়। তিনি ছাড়াও ওই বাড়িতে বসেন আরও পাঁচ জন অতিরিক্ত কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক। ইস্টার্ন সাবার্বান ডিভিশনের সাতটি থানা ও একটি মহিলা থানার সব কাজ নিয়ন্ত্রিত হয় ওই ভবন থেকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এ দিন ভোর পাঁচটা নাগাদ ওই ভবনের দোতলার একটি ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। উপস্থিত পুলিশকর্মীরা গিয়ে দেখেন, প্রিয়ব্রতবাবুর ঘর জ্বলছে।
খবর পেয়ে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। এক দমকলকর্মী বলেন, ‘‘তারের জটের জন্য কাজ করতে সমস্যা হয়েছে। এক দিকের আগুন নিভলেও অন্যত্র পকেট ফায়ার দেখা দিচ্ছিল।’’ পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, একতলা সম্পূর্ণ জ্বলে গিয়েছে। ডিসির ঘরের দেওয়াল থেকে ঝুলছে পোড়া তারের জট। প্রিয়ব্রতবাবু বলেন, ‘‘কী থেকে আগুন লেগেছে স্পষ্ট নয়। কলকাতা পুলিশের ফরেন্সিক বিভাগের সদস্যেরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন।’’ কিন্তু পুলিশ ভবনে এমন তারের জট থাকে কী করে? ওই ভবনে কি অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল? লালবাজারের তরফে সব ব্যবস্থা ছিল বলে দাবি করা হলেও ওই ভবনে কর্মরত এক পুলিশকর্মী বলেন, ‘‘অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা যে যথার্থ নয়, সেটা তো এ দিনের ঘটনাতেই স্পষ্ট। আগামী দিনে আরও মজবুত ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।’’